আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে এমন সাতজন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী রিয়াদে অভিযানে চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা হলেন- ইমান আল-নাফজান, লুজাইন আল-হাতলোউল, আজীজ আল-ইউসুফ, আয়েশা আল-মানিয়া, মদীহা আল-আজরাউশ, ওয়ালা আল-সুববার এবং হাসা আল-শেখ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়, এই নারীদের গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের কারণ জানা না গেলেও অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, নারীদের কণ্ঠস্বর রোধ করতে কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ড।
সৌদির সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি অপশক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে ওই নারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা প্রকাশ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন বিভিন্ন সময়। একইসঙ্গে সৌদি রাজ্যের অভিভাবক আইন নিয়েও সমালোচনা করেন তারা।
সৌদি আরবে নারীদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বাইরে যেতে হলে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। এখন পর্যন্ত নারীরা একা একা গাড়ি চালাতে পারেন না। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। কিছু সংস্কার করে আগামী মাসে এটা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
সৌদি আরবে সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্কারের পেছনে রয়েছেন মূলত রাজপুত্র ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান। তার উদ্যোগেই ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি চালু হয়, যাতে তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা এবং সৌদি সমাজ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। সালমানের এ সংস্কারের কারণে একজন নারী কোনো পুরুষের অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: