প্রতিকি ছবি |
সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১২ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সন্ত্রাসীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গত বুধবার ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আট ব্যক্তির বিস্ফোরক দিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করা দেহ খুঁজে পায়। এর দুইদিন আগে সরকারের কাছে আইএস সন্ত্রাসীদের করা একটি দাবির সময়সীমা শেষ হয়ে যায়।
আইএস সদস্যরা ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে অপহরণ করে ও অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাদের ছয়জনকে দেখায়। সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়, সরকার যদি আইএস-সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গ্রেফতারকৃত নারী সুন্নি বন্দীদের মুক্ত করে না দেয় তাহলে অপহৃত নিরাপত্তাকর্মীদের হত্যা করা হবে।
আইএসের দাবি, অপহৃত ব্যক্তিরা ইরাকের আধা-সামরিক বাহিনী হাশদ আল-শাবির সদস্য ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত করে জানা গেছে, অপহৃত ব্যক্তিদের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই হত্যা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া ওই ভিডিওটা ছিল আইএসের অপপ্রচার।
এদিকে সরকারের কড়া সিদ্ধান্ত নড়চড় হওয়ার উপায় নেই। ফলে ইরাকে ধরা পড়া ১০০ নারী ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসীর ফাঁসি শুধু সময়ের অপেক্ষা। মৃত্যুদন্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে মোট তিনশ’ জনের। যে কোনও মুহূর্তেই তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল আবাদি সেরকমই নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, বন্দি সন্ত্রাসীদের অনেকেই বিদেশি। বিশেষ করে যেসব নারী সন্ত্রাসীরা ধরা পড়েছে তাদের বেশিরভাগই বিদেশি। তাদের বিরুদ্ধেও কোনও নরম মনোভাব দেখানো হবে না বলেই জানিয়েছে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
ধৃত মহিলা সন্ত্রাসীদের বেশিরভাগই অধুনালুপ্ত সোভিয়েত অঞ্চলের বাসিন্দা। আছে কয়েকজন বেলারুশিয়ান।
গত ডিসেম্বরে আইএসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জয় পায় ইরাক সরকার। সেই অভিযানেই ধরা পড়ে সন্ত্রাসীরা। অবশ্য পতন আসন্ন বুঝে অনেকেই এলাকা ছেড়ে বোরকা পরে পালানোর ছক করেছিল। প্রথমদিকে কয়েকজন সফল হয়। পরে আর তা আর সম্ভব হয়নি। মসুল ও সংলগ্ন এলাকার বন্দি শিবিরে রয়েছেন তেমনই বহু আইএস সন্ত্রাসী।
সূত্রঃ আল-জাজির।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: