![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরদোয়ান তাতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত কেবোসোগলো।
মঙ্গলবার তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে তাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তখন প্রেসিডেন্ট উত্তরে বলেছিলেন,দেখা যাক কি হয়। তবে এ মুহূর্তে আপনার সঙ্গে দেখা করার কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করেন রজব তৈয়ব এরদোয়ান।
গত মাসে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রখ্যাত সৌদি সংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর এ দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছে। রজব তৈয়ব এরদোয়ান এ নিয়ে সৌদিকে দোষারোপও করে আসছেন শুরু থেকেই।
অপরদিকে এ হত্যাকাণ্ডের জেরে কঠিন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি। ঠিক এসময়ে এসে রজব তৈয়ব এরদোয়ানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের দেখা করতে চাওয়া আগ্রহ জন্মায় আন্তর্জাতিক মহলে। দেখা করে কী বলতে চান যুবরাজ- এ প্রশ্ন এখন যে কারও মাথায় আসতেই পারে।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন খাশোগি।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: