স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ মরহুম রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ। এই মহান নেতা বগুড়া জেলার গাবতলীতে ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিবসটি পালনে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে
দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ শুক্রবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর
রহমানের কবরে নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়া। আজ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের সব
কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিকে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে এক
আলোচনা সভার আয়োজন ও করা হয়। সকালে মেজর জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়া সেখানে
এক মিলাদ শরীফ মাহফিল ও বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নয়াপল্টনে
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে সকাল থেকে শুরু হবে ফ্রি মেডিকেল
ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে
ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার ছাপানো হয়েছে।
ডাক নাম কমল হলেও
সর্বস্থরে জিয়াউর রহমান নামেই পরিচিত। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট
বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার
ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসেন জিয়াউর
রহমান। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮
সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। জিয়াউর
রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী
উপলক্ষে এক বাণীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন,
“এ
দেশের এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী
হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ
স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে
আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ
করেন। ক্ষমতায় এসেই মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের
পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, নিশ্চিত করেন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা”।
তিনি বলেন,
“শহীদ
জিয়ার জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে জনগণের
ঘাড়ে চেপে বসা বর্তমান ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাভূত করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
এবং মৌলিক ও মানবাধিকার সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীসহ সবার প্রতি
আহ্বান জানান তিনি”।
0 facebook: