14 July 2019

বরিশালে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুইজনের যাবজ্জীবন


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বরিশালে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রবিবার দুপুরে একজন আসামির উপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মনির খাঁ ও মো. রুবেল। এর মধ্যে রায় ঘোষণার সময় মনির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকলেও রুবেল পলাতক ছিল। এরা নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আরজি কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রী প্রতিবেশী বান্ধবীর বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায়। ওই রাতে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ওই বান্ধবীর চাচাতো ভাই মনির ও তার বন্ধু রুবেল তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে তারা ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ তার বান্ধবী সুমিদের রান্নাঘরে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন সকালে সুমিদের রান্না ঘরে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নগরীর বিমান বন্দর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বিমানবন্দর থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিমান বন্দর থানার দুই তদন্ত কর্মকর্তা পরপর দুই বার আদালতে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে বাদী নারাজী দেয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত সিআইডিকে ওই মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় সিআইডির পরিদর্শক আল-মামুন-উল ইসলামকে। তিনি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মনির ও রুবেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন।

পরে ট্রাইব্যুনালে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় ওই দণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


শেয়ার করুন

0 facebook: