 |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ রবিবার পাইকর থানার বিড়ল গ্রামে জয়শ্রীরামের নামে চরম হেনস্থার শিকার ব্যবসায়ী ইসমাইল সেখ। এদিন পাইকর থানার ভাদিস্টা গ্রামের পেশায় মশলা ব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তি নিয়ম মাফিক পার্শ্ববর্তী বিড়ল গ্রামের গৌতম মন্ডলের মুদিখানার দোকানে মশলা ডেলিভারী করতে যায়। তখন ঐ গ্রামের এক যুবক ইসমাইল সেখকে ধরে বারবার বলতে থাকে ”একে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলা দরকার, রেখে কোন লাভ নেই”। “গলাকেটে নেওয়া হবে, ভারতের মধ্যে জায়গা নেই তোদের কবরস্থান আসল জায়গা”।
বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে জামার কলার ধরে প্রচন্ড ধাক্কাধাক্কি ও অকথ্য গালিগালাজ করে জয় শ্রীরাম বলার জন্য জোর করতে থাকে। কোনো ক্রমে সেই ব্যবসায়ী দ্রুত সেখান থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হন, নইলে বড় বিপদ ঘটতে পারতো।
শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই ঘটতে শুরু করা এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ত্রস্ত রাস্তা নেমে আসলে।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়টি এ্যসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ হিউম্যান রাইটস এর সহযোগিতায় বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও যথারীতি পুলিশ দেরীতে পৌঁছায়। পুলিশের সামনে আতঙ্কিত সন্ত্রস্ত জনতা ঐ যুবককে গ্রেফতার ও সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত ঐ গ্রামের মধ্যে দিয়েই গেছে শহরের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে সঙ্গে সঙ্গে ঐ যুবককে গ্রেফতার করে ও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে জনতা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেয়। এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুলিশ প্রশাসন কতটা তৎপরতার সাথে এই ইস্যুতে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার।
সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও উগ্র হিন্দুত্ত্ববাদীদের দ্বারা মুসলিম সংখ্যালঘু ও দলিত নির্যাতন কিছুতেই থামছে না।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: