![]() |
তাসলিমা নাসরিন ও তার মেয়ে দাবিকারি আঙ্কিতা |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। হঠাৎ করে একটি মেয়ের দাবিতে উভয় বাংলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর হবেইবা না কেন? কারণ ঘটনার মধ্যমণি যে বিখ্যাত পুরুষ ও সংসার-সন্তান বিরোধী ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক লেখিকা তাসলিমা নাসরিন।
ভিক্টিম এর নাম অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, এই মুহূর্তে থাকে শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানে। ভাগ্যের বিড়ম্বনার স্বীকার অঙ্কিতা তাঁর পিতৃ এবং মাতৃপরিচয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কারণ তাঁর মায়ের নাম তসলিমা নাসরিন এবং বাবার নাম জর্জ বেকার। ইতিমধ্যেই আলিপুর সিভিল জজ কোর্টে চলছে সেই মামলা। যেখানে ইতিমধ্যেই আদালত ডিএনএ টেস্টের সমন জারি করেছে।
সে বলে, আমি অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। আমার বাবা জর্জ বেকার। আমার মা তসলিমা নাসরিন। আমি গত দুই বছর ধরে আমার পিতৃ ও মাতৃ পরিচয়ের জন্য লড়াই করে চলেছি। আমার পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় ছাড়া কিছু চাই না। আমার এই লড়াই সত্যের লড়াই। এই লড়াইয়ে সমস্ত দেশবাসী আমার পাশে আছেন। আমার খবর প্রকাশিত হয়েছে হচ্ছে বর্তমান সংবাদপত্রে। বর্তমান সকল সংবাদপত্রের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
অঙ্কিতা নিজ মূখ থেকে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত আশির দশকে। জর্জ বেকার এবং তসলিমা নাসরিনের সন্তান হিসেবে অঙ্কিতার জন্ম হয়। সেই সময় অর্পিতা চক্রবর্তী নামক এক জনৈক মহিলা জর্জ বেকারকে ব্ল্যাকমেল করেন। ব্ল্যাকমেলের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন জর্জ বেকার। অভিযোগ অঙ্কিতার পরিচয় মুছে দেওয়ার জন্য অর্পিতা বেকার (চক্রবর্তী) তাঁর দিদি গৌরী ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী নির্মল ভট্টাচার্যের সন্তান অর্পিতা, এই মর্মে একটি জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করান। এমনকি ক্লাস নাইনে অঙ্কিতা পড়াকালীন চারবার তাঁর স্কুল সার্টিফিকেট বদল করা হয়। অর্পিতা বেকারের (চক্রবর্তী) দাদা রঞ্জিত চক্রবর্তীর তত্বাবধানে কার্যতঃ জোর করেই ২০১৬(২৭ মে) বর্ধমানের ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। অঙ্কিতার অভিযোগ বারবার অর্পিতা, রঞ্জিতরা ফোন করে তাঁর কাছে জানতে চাইছেন তাঁর সন্তান হয়েছে কিনা? এমনকি তাকে সন্তান না আসার ওষুধ খাওয়ারও কথা বলতেন। তাঁর দাবী বেহালার ম্যান্টনের ফ্ল্যাটে মা তসলিমার সঙ্গে ২০০৯-এ আমার শেষ দেখা হয়।
এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জর্জ বেকার সাংবাদিকদের জানায়, অঙ্কিতা ভট্টাচার্যের এই দাবী নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তার তরফ থেকে। আগামী দিনে সে একটি মানহানির মামলাও করবে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে। সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর বক্তব্য অঙ্কিতার এই দাবীর কোনও যৌক্তিকতা নেই। এমনকি জর্জ বেকারের অভিযোগ বারবার ফোন করে বিরক্তও করা হচ্ছে এবং খ্যাতি পাওয়ার জন্যই অঙ্কিতা ভট্টাচার্য এরকম করছে। তার ডিএনএ টেস্টে কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু এইভাবে তাঁর সম্মানহানি কেন করা হচ্ছে তার জবাব চাই। তসলিমা নাসরিন এবং রঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
বিঃদ্রঃ এই খবর সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র (আদালত সংক্রান্ত প্রামাণ্য তথ্য) আমাদের কাছে রয়েছে। কোনওভাবে চ্যালেঞ্জ হওয়ার আগে আমরা সরাসরি সেগুলি মিডিয়াতে প্রকাশ করলাম না, কারণ সরাসরি সেগুলি প্রকাশ করা আইনবিরুদ্ধ বলে গণ্য হতে পারে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ভারত
0 facebook: