তসলিমা নাসরিন বলে, ‘সৌদি মেয়েরা গতকাল থেকে বৈধভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। রিয়াদে, জেদ্দায় উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে রীতিমত। যারা গাড়ি চালাচ্ছে, তারা, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, শিখলো কোথায় গাড়ি চালানো! গাড়ি চালানো শিখতে হলে তো গাড়ি চালাতে হয়। হয়তো কোনও সভ্য দেশ থেকে শিখে এসেছে। টাকা পয়সা আছে, গাড়ি কিনবে, গাড়ি চালাবে, কিন্তু গাড়ি চালালেই কি নারী স্বাধীনতা অর্জিত হবে?’
‘গাড়ি চালিয়ে যেখানে যেখানে যেতে বলবে স্বামী, সেখানে সেখানেই তো যেতে হবে। স্কুল থেকে বাচ্চাকে নিয়ে এসো, আমাকে অফিসে নিয়ে যাও, বাজার করতে যাও। আগে ড্রাইভার এ কাজ করতো, এখন ঘরের বউ করবে। ঘরের বউ বিনে পয়সার ড্রাইভার, যাকে মাসে মাসে বেতন দিতে হবে না।’
তাসলিমা আরও বলেছে, ‘স্বাধীনতা পেতে হলে গাড়ি চালানোরও আগে প্রথম যে কাজটি মেয়েদের করা উচিত, সেটি হলো বোরকা খুলে ফেলে দেওয়া। বোরকা যতক্ষণ শরীরে থাকবে, ততক্ষণ একটি মেয়ে বন্দি। পুরুষতন্ত্রের কারাগারে বন্দি। বোরকা পরে গাড়ি কেন, উড়োজাহাজ চালালেও, উড়োজাহাজই বা বলি কেন, মহাকাশযান চালালেও মেয়েরা বন্দি। বোরকা কোনো কাপড় নয়, বোরকা হলো কালো কারাগার। এই কারাগারের মালিক পুরুষ। নিজের কর্তৃত্ব নারী যতদিন নিজে না নিতে পারে, ততদিন গাড়ির যে চাবিটি তার হাতে আছে, সেটি নকল চাবি, আসল নয়। আসল চাবি পুরুষের হাতে।’
সৌদি আরবের যুবরাজ বিন সালমানের হাত ধরে সামাজিক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল এই দেশটি। কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার পর গতকাল থেকে গাড়ির চালকের আসনে বসেছেন সৌদি নারীরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: