![]() |
আজ শুক্রবার বেলা ২টায় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সবাইকে মেনে নেয়ার কথা বলেছেন। তাহলে কি তার বক্তব্য অনুযায়ী মধ্যরাতের নির্বাচন মেনে নিতে হবে? গুম-খুন-অপহরণ-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড-নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সকল অন্যায়-অপকর্ম মেনে নিতে হবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাস সেক্টরে সরকারি দলের লোকদের চুরি, লুটপাট ও দুর্নীতি মেনে নিতে হবে?
তিনি বলেন, এখন নতুন সূর্য উঠেছে। সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণ এখন সোচ্চার হয়ে উঠেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্পূর্ণ নির্দোষ বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারামুক্ত করতে জনগণ এখন নতুন সূর্যের আলোয় রাজপথ উত্তাল করতে এগিয়ে আসছে।
রিজভী বলেন, দেশ শাসনে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত থাকলে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের মঙ্গল বা কল্যাণে উদ্যোগী হয় না। বাংলাদেশে এখন কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে বলেই জনগণের মঙ্গল সাধনকে পরোয়া করে না ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার। এ কারণেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভয়াবহ দুঃশাসনে জর্জরিত জনগণ ক্ষমতাসীনদের প্রতি চরম বীতশ্রদ্ধ হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে ধারাবাহিকভাবে বেআইনী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে জনগণের ওপর। চলতি মাস থেকে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বদ্ধি সেটিরই আরো একটি নির্মম ও অমানবিক বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রেই দাম্ভিকতা এবং জনগণের প্রতি কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের ওপর নিপীড়ণ-নির্যাতন চালাতে কুন্ঠাবোধ করছে না। জনগণের জীবন-সহায়-সম্বল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক তাতে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ নেই বলেই চারিদিকে লুট ও দখলের প্রতিযোগিতা চলছে বেপরোয়া গতিতে।
রিজভী আরো বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। আবারো গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারী দলের লোকজনদের জন্য অবৈধ অর্থ উপার্জনের আরো একটি পথ উদ্ভাবিত হলো। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নানা অপকর্ম করে নিশ্চিন্তে দেশ শাসনের লক্ষ্যে জনগণের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, আপসহীন দেশনেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জোর করে বন্দী রেখে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান মধ্যরাতের ভোটের সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে বলবো-দেশনেত্রীকে আর কষ্ট দিবেন না। তার জামিনে বাধা দিবেন না। আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের উপর থেকে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আইনী প্রক্রিয়ায় জামিনে কারামুক্ত হবেন। আইনকে তার নিজের গতিতে চলতে দিন। অপতৎপরতা বন্ধ না করলে আপনাদেরকে এজন্য ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। দেশনেত্রী ও বিএনপিকে নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। আপনাদের জুলুমবাজী শাসনের উপযুক্ত জবাব দিতে দেশের নিষ্পেষিত জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান রিজভী।
মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির র্ভুঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এসএম জিলানী, উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল, ঢাকা জেলার আব্দুর রহমান বাবুল, নাজমুল হোসেন অভি, গাজীপুর মহানগরের আরিফ হাওলাদার, শাহাদত হোসেন শাহীন, মুন্সীগঞ্জ জেলার ইদ্রিস মিয়াজী (ভিপি মোহন), সিদ্দিক মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তরের শাহাবুদ্দিন মুন্না, আজিজুর রহমান মুসাব্বির, সাবেক নেতা এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, সরদার নুরুজ্জামান, মো: হারুন অর রশীদ সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েক শ’ নেতাকর্মী অংশ নেন।
0 facebook: