খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশ এই ১০ কবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা প্রত্যেকেই বাঙালি মুসলিম কবি। মূলত ‘মিঞা’ উপভাষায় কবিতা রচনা করে থাকেন তারা। তাদের কবিতায়, এনআরসি থেকে বাদ পড়া মুসলিমদের দগদগে ঘা ফুটে উঠেছে।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানান, ওই কবি এবং সামাজিক কর্মীদের বিরুদ্ধে আইপিসি ১২০বি, ১৫৩এ, ২৯৫এ এবং ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ধর্মেন্দ্র কুমার দাস।
আসাম প্রদেশের মুসলিম কবি কাজী সারওয়ার হোসেনের লেখা একটি কবিতাকে ঘিরে প্রথম অভিযোগের আঙুল উঠে। অভিযোগটি জানিয়েছিলেন প্রণবজিত দোলোই নামের এক ব্যক্তি।
প্রণবজিতের অভিযোগ, “ওই কবিতায় বিশ্ববাসীর কাছে আসামের মানুষকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটি রাজ্যের আর্থসামাজিক পটভূমিতে রীতিমতো আঘাত করছে। কবিতার মূল ভাববস্তু আসলে রাজ্যের মানুষকে সরকার তথা সিস্টেমের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া।”
অভিযোগ এসেছে আবদুল কালাম আজাদ নামের আর এক কবি এবং সমাজকর্মীর নামেও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের কি সাধারণ মানুষের সত্যিকারের অসুবিধা নিয়ে লেখার কোনো স্বাধীনতা নেই?”
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: