সাবেক হিন্দুপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। জম্মু-কাশ্মীরে নিজের বাড়িতে যেতে পারলেন না রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামলে তাকে সেখানেই থামিয়ে দেয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই পারেননি জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী।
পরে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের বিমানে তাকে দিল্লি ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা শ্রীনগর বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “প্রতিবারই সংসদ অধিবেশন শেষে আমি নিজের বাড়ি ফিরি। এজন্য আমি কারও অনুমতি নিইনি। আমি ওখানে যাচ্ছিলাম মানুষের দুরবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়াতে। নিজের বাড়িতেই ফিরতে না পারায় অসন্তুষ্ট আজাদ বলেন, কাশ্মীরবাসী কেন্দ্রের এ পদক্ষেপে রীতিমতো ক্ষুব্ধ”। কারণ সারা অঞ্চলে কোনো মোবাইল, ইন্টারনেট বা সংযোগ পরিষেবা নেই।
তার অভিযোগ, এই প্রথম কোনো রাজ্যে আইন পাস হল আগে সেখানে কারফিউ জারি করে। বুধবার শ্রীনগরের রাস্তায় কাশ্মীরি যুবকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদ্রেষ্টা অজিত দোভালের গল্প করা এবং খাওয়ার ছবিটিও প্রশাসনিক ভাঁওতা বলে বৃহস্পতিবার কটাক্ষ করেছেন আজাদ।
অর্থের বিনিময়ে ওই ছবি তোলা হয়েছে বলে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেছেন, আপনি টাকা দিয়ে যে কাউকে কিনতে পারবেন এবং তাকে দিয়ে ওটা করাতে পারবেন।
লোকসভা কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, আমরা কাশ্মীরিদের এগিয়ে নিয়ে যাব আলিঙ্গন করে। বুলেট দিয়ে নয়।
কিন্তু বর্তমানে কাশ্মীরের অবস্থা কনসেনস্ট্রেশন ক্যাম্পের মতো। মোবাইল কানেকশন নেই, ইন্টারনেট নেই, অমরনাথের তীর্থযাত্রীরা নেই। কী হচ্ছে ওখানে?'
গুলাম নবী আজাদকে ঢুকতে না দেয়ার ঘটনায় কেন্দ্রের বক্তব্য, আমরা সব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। উনি (গুলাম নবী আজাদ) কাশ্মীরে ঢুকলে সমস্যা হতে পারে। তাকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের। তাকে নিরাপদ স্থানে রাখবে নাকি দিল্লি ফেরত পাঠাবে, সম্পূর্ণ রাজ্য প্রশাসনের বিষয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীর
ভারত
0 facebook: