26 December 2017

চট্টগ্রামের রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সেই ‘মৃত্যুকূপ’ অবশেষে ভরাট হলো

চট্টগ্রামের প্রতিনিধি: অবশেষে ভরাট হলো রীমা কনভেনশন সেন্টারের সেই মৃত্যুকূপ। যে কূপে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, রীমার যে ফটকে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সেখানে আরসিসি ঢালাইয়ের ওপর পানি দিচ্ছেন একজন শ্রমিক। পাশে দাঁড়িয়ে কাজ তদারকি করছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মুহম্মদ আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, প্রকৌশলীর নতুন নকশা অনুযায়ী আমরা ফটকের নিচে যে ঢালু পথটি ছিল সেটি প্রায় দেড়-দুই ফুট উঁচু করে দিয়েছি। এর পাশে দুই ফুট উঁচু ইটের দেয়াল দেওয়া হবে। সেখানে থাকবে স্টিলের বেড়া। আবদুল মান্নান জানান, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ১৬ জন নির্মাণশ্রমিক ঢালু পথটি ভরাটের মাধ্যমে উঁচু করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এখনো অনেক কাজ বাকি। সব শেষ করতে চার-পাঁচ দিন লাগবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুলভ মূল্যে আমাদের কনভেনশন সেন্টার ভাড়া দেওয়ায় অনুষ্ঠান আয়োজকদের কাছে চাহিদা বেশি। ইতিমধ্যে অনেক বুকিং বাতিল করেছি আমরা। ট্র্যাজেডির দিন আয়োজকদের পক্ষে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। তিনি বলেন, মৃত্যুকূপ ভরাটের কাজ করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। প্রকৌশলীদের নকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে যাতে আগামী দিনে কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন না থাকে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫ লাখ, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার, হিন্দু ফাউন্ডেশন থেকে ১০ হাজার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আশাকরছি, রীমা কনভেনশন সেন্টারের মালিকপক্ষ থেকেও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

রীমা কনভেনশন সেন্টারের মালিক মুহম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, রীমা অনেক পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। ৩০-৩৫ বছর তো হবেই। কয়েক বছর আগে আমরা এটির সংস্কারকাজ করি। প্রায়ই এখানে বিয়েশাদি, মেজবান হয়। কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটেনি। সেদিন মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা দুঃখজনক।

তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, রীমাতে দুটি ফটক আছে। একটি মানুষের চলাচলের জন্য। অন্যটি গাড়ি পার্কিং স্পেসে ঢোকার জন্য। দুর্ঘটনার দিন গাড়ি ঢোকানোর ফটক দিয়ে মানুষ ঢোকানো হয়েছে। যা ছিল ঢালু। এখন আমরা সেটি ওভারকাম করতে প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।


শেয়ার করুন

0 facebook: