দস্তার রাজদরবার॥ গতো ১৭ তারিখে আমার অফিশিয়াল পেইজ উগ্রপন্থী হিন্দুদের রিপোর্টে ফেসবুক কতৃপক্ষ ডিলিট করে দেয়। কারণ হিসেবে তারা আমার একটি ভিডিও পোষ্ট কে উল্লেখ করে, ভিডিওটি দেখতে এই নিউজটায় যেতে পারেন (ভারত নয় খোদ বাংলাদেশে মুসলিম শিশুদের শিরকী প্রসাদ খাইয়ে 'জয় শ্রী রাম' বলানো হচ্ছে)। ঘটনা কেবল চট্রগ্রামেই নয় সারা দেশ ভাইরাল হলেও মুসলিম সমাজে এর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ভূমিকাই দেখা যায়নি। এতএব বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, ইসকনের উগ্রপন্থী হিন্দুরা নয়, বরং চট্টগ্রামের মুসলমানরাই দায়ী এবং। উগ্রপন্থী ইসকনী হিন্দু কতৃক মুসলমানদের প্রসাদ
খাওয়ানো ও কোমলমতি শিশুদের দিয়ে স্কুলে হরে কৃষ্ণ বলানোর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের মুসলমানদেরই তাহলে
মুরতাদের বিধান অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রাপ্য। যেমনটি প্রিয়া সাহাদের উত্থানের পেছনে দায়ী হচ্ছে আওয়ামী লীগ নিজেই। ট্রাম্পের অফিসে যাওয়ার সাধ্য এই নমশূদ্র কাজের বেটির হতো না, যদি না তার স্বামীকে সরকার দুদকে উচ্চপদে বসাত, তার ও তার ফ্যামিলিকে সুবিধাপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত করত।
ঠিক সেভাবেই চট্টগ্রামে যা হয়েছে, তার পেছনে পুরো দায় সেখানকার মুসলমানদের। একটি নিউজে পড়লামঃ-
“হিন্দুদের সংগঠন 'ইসকন' চট্টগ্রামে যা করেছে তার বিপরীতে প্রথম রিএকশানটা দেখানো উচিত ছিল অভিভাবকদের। যেসব স্কুলে তারা পূজার প্রসাদ খাইয়েছে এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের হিন্দুদের ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ানো হয়েছে এসব স্কুলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত ছিল অভিভাবকদের। এরকম কিছু চোখে পড়েনি। কারণ আমাদের অভিভাবকরা এসব নিয়ে আসলে মাথা ঘামায় না, তার উপর অনেকের কাছেই ইসকনের এই কাজটা নিতান্ত 'ভালো কাজ' বলে মনে হবে। আর এই সচেতনতার অভাবটা তৈরি করেছে আমাদের আলেমরা। আচ্ছা আজকে চট্টগ্রামের কয়টা মসজিদে এই ইশ্যুতে খুতবা দেওয়া হয়েছে? মানুষকে সচেতন করা হয়েছে? হেজাফত ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল করেছে, কিন্তু এতে কি আসলে মানুষের মাঝে সচেতনতা এসেছে? মানুষ এ বিক্ষোভ মিছিলকে "হেফাজতের মিছিল" হিসেবে নিয়েছে, নিজেদের হিসেবে নেয়নি।” (পুরোটা পড়ুন)
এ কারণেই ঘটনার কিছু সময় পরেই লাল সুতা পরা হিন্দু ছাত্রীর হাতে কেক খাওয়া হেডমাস্টার আশরাফুল আলম ইসকনের প্রসাদ বিতরণের পক্ষে সাফাই গেয়ে স্ট্যাটাস দেয়, যে স্ট্যাটাস ভাইরাল করে দিয়েছে হিন্দুরা। এই হেডমাস্টারের তো চাকরি চলে যাওয়া উচিত, যে সে কেন ইসকনকে মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের অনুমতি দিল। কিন্তু সে জানে যে তার কিছুই হবে না, কারণ চট্টগ্রামের তাবৎ মুসলমান নামধারী অভিভাবকেরা তার পক্ষে। (ছবি দেখুন)
উল্লেখ্য, ইসকন ফুড ফর লাইফ পেজটি থেকে ঐ হরে কৃষ্ণ বলানোর ভিডিও ছাড়াও আরও দুটি ভিডিও ছাড়া হয়েছিল। নিচের ভিডিওর শেষেরদিকে হিজাব পরা এক শিক্ষিকার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, সেখানে সে বলে যে ইসকন এই প্রসাদ বিতরণ করে খুব ভালো কাজ করেছে, তারা যেন পরের বছরগুলোতেও এমনটি করে। (দেখুন)
এখন শিক্ষিকা তো বলবেই যে প্রসাদ বিতরণ করে খুব ভালো হয়েছে, কারণ তার স্কুলের মুসলমান নামধারী অভিভাবকেরাই কাজটিকে ‘নিতান্ত ভালো’ বলে মনে করে।
এখন শিক্ষিকা তো বলবেই যে প্রসাদ বিতরণ করে খুব ভালো হয়েছে, কারণ তার স্কুলের মুসলমান নামধারী অভিভাবকেরাই কাজটিকে ‘নিতান্ত ভালো’ বলে মনে করে।
এখন মানুষ যতোই আওয়ামী লীগকে গালি দিক না কেন প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দেয়ার জন্য, তারা তো সেই শাসকই লাভ করবে যা তাদের জন্য উপযুক্ত। ইসকন চট্টগ্রামে মুসলমান সন্তানদের হরে কৃষ্ণ বলালো, চট্টগ্রামে ইসকনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কী? কেউ গ্রেফতার হয়েছে কী? সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কী? কিছুই হয়নি। একটি মামলা হয়েছে তাও ঢাকার হাইকোর্টে, চট্টগ্রামের জনজীবনে তা কোনো প্রভাবই ফেলেনি। জুমুয়ার খুতবায় তা নিয়ে কিছুই আলোচনা হয়নি, এমনকি হেফাজতের মিছিলকেও চট্টগ্রামবাসী নিজেদের প্রতিবাদ হিসেবে নেয়নি।
এমতাবস্থায় শরীয়তের ফয়সালা অনুযায়ী চট্টগ্রামবাসীর উপর মুরতাদের ফতওয়া বর্তায় এবং তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আগে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, এরপর চট্টগ্রামের উগ্র হিন্দুদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
উল্লেখ্য, আমরা জানি যে বাংলাদেশ থেকে যে এলাকাটি আমেরিকা-ভারত আলাদা করে হিন্দু-বৌদ্ধ-উপজাতিদের আলাদা রাষ্ট্র করতে চায়, তা হলো চট্টগ্রাম। আর এই পরিণতি তরান্বিত হচ্ছে চট্টগ্রামের মুসলমানদের এই অতি হিন্দুপ্রীতির কারণে। যদি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় চট্টগ্রামের হিন্দু-উপজাতিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেও হয়, চট্টগ্রামের এই মুনাফিক জনগোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি বাধার সৃষ্টি করবে, যেমনটি গাযওয়াতুল হিন্দে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হবে ভারতের হিন্দুপ্রেমিক মুসলমান জনগণ।
সুতরাং প্রথমে চট্টগ্রামের মুরতাদ বনে যাওয়া মুসলমানদের ফাঁসি দেয়া হোক, এরপর চট্টগ্রামের উগ্র হিন্দুদের ফাঁসি দেয়া হোক। দ্বীন ইসলামের হুরমত-সম্মান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতেই তা করা হোক।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
চট্টগ্রাম বিভাগ
হিন্দু সমাচার
0 facebook: