স্টাফ রিপোর্ট।। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসির নির্দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সদ্য পদত্যাগ করা সহকারী প্রক্টর মুহম্মদ হুমায়ুন কবির।
রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরাসরি ভিসি খোন্দকার মুহম্মদ নাসির উদ্দিন ও প্রশাসনের কাছ থেকে এ হামলার নির্দেশ এসেছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভিসি খোন্দকার মুহম্মদ নাসির উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দিতে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন ওই শিক্ষক।
এদিকে একটি বেসরকারি চ্যানেলে টক শো’তে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবেও ভিসি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আপনার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করানোর অভিযোগ উঠেছে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলে, আমি বাসায় ছিলাম। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। আমার আয়ত্বের বাহিরে। তাই আমি হামলা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে পারিনি।
তাহলে শিক্ষার্থীদের ওপর কারা হামলা করেছে? এ প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, আমি শুনেছি এলাকাবাসী হামলা করেছে। এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছেন বলে জানান তিনি।
গত চার দিন ধরে গোপালগঞ্জে এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ঠেকাতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে ভিসি নাসির উদ্দিন।
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামলে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায় শিক্ষার্থীদের ওপর। এতে আহত হন ২০ শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে লেখার জেরে ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন।
উপাচার্য বহিষ্কারাদেশ তুলে নেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন।
0 facebook: