আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি সরকারি দফতর নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে মিয়ানমারে
উগ্রপন্থী বৌদ্ধধর্মাবলম্বী জঙ্গি রাখাইনদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সাতজন নিহত ও ১৩
জন আহত হয়েছে। সূত্রে জানাযায়, পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি বর্ষণ করলে এই
হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বার্তাসংস্থা এএফপির
খবরে বলা হয়, বৌদ্ধধর্মাবলম্বী কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী একটি
অনুষ্ঠান পালনের জন্য প্রাচীন মন্দির চত্বর মরাউকে সমবেত হয়েছিল। এ অঞ্চলের
সংখ্যালঘু নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সামরিক বাহিনী ব্যাপক দমনপীড়ন
চালালেও এটি এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে। তবে তাদের সমাবেশটি কেন সহিংস রূপ নিল তা
তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সীমান্ত অতিক্রম
করে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেয়া ছয় লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে
ফেরত নিতে শুরু করতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের
দিন এ সংঘর্ষ হলো।
পুলিশ এ সহিংসতার
জন্য সেখানে সমবেত হওয়া জনতাকে দায়ী করে বলেছে, তারা জেলা
প্রশাসনের একটি দফতর দখল করে সেখানে রাখাইন রাজ্যের পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা চালাতে
গেলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
মিয়ানমার পুলিশের
মুখপাত্র কর্নেল মিয়ো সোয়ে এএফপিকে বলেন, নিরাপত্তা
বাহিনীর সদস্যরা সমবেত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে রাবার বুলেট ছুঁড়লেও তারা সরে
না যাওয়ায় পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। এতে সাতজন বৌদ্ধ জঙ্গি নিহত ও ১৩ জন আহত হয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: