আন্তজার্তিক ডেস্কঃ মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফা আলী জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বা অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ বিদেশি অবৈধ
শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ বা ‘রিহায়ারিং প্রকল্প’র মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
কুয়ালালামপুরস্থ
বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহম্মদ শহীদুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মালয়েশিয়ায়
বাংলাদেশি শ্রমিক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত,
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বা অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ বিদেশি অবৈধ
শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ‘রিহায়ারিং’ নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়। এ রিহায়ারিং এর মাধ্যমে বৈধ
হওয়ার জন্য প্রধান শর্ত ছিলো সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ
করেছে হতে হবে। মানে নৌ পথে বা কোনো কাগজ-পত্র
ছাড়া প্রবেশকারীরা বাদ যাবেন। শিক্ষার্থী ভিসায় প্রবেশকারীরাও অযোগ্য বলে বিবেচিত ছিলো। রি-হায়ারিং করতে অবশ্যই
পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
রিহায়ারিং
প্রক্রিয়ায় আংশগ্রহণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশিরাই প্রথমস্থানে রয়েছে। ই-কার্ড কার্যক্রমে ১ লাখ ২০ হাজার
ও রিহায়ারিং প্রক্রিয়ায় প্রায় পৌনে ৪ লাখসহ প্রায় ৫ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক এই
প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।
দাতুক সেরি
মোস্তাফা আলী হাইকমিশনকে জানান, রিহায়ারিং প্রকল্পের মেয়াদ আর
বাড়ানো হবে না।
লেবার
কন্স্যুলার মুহম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়ায়
বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দ্বিতীয় স্থান থেকে বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আগে ইন্দোনেশিয়ার পরই ছিল
বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা। বর্তমানে নেপালের সংখ্যা বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে। আর রিহায়ারিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবার
উপরেই বাংলাদেশ। ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রশংসা করেন।
এছাড়া তিনি
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের অপরাধ পরিসংখ্যনের কথা উল্লেখ করে জানান, সেখানে সবার নীচেই বাংলাদেশিদের অবস্থান। এ সময় তিনি হাইকমিশনে কর্মরত
কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন মিশনের বিভিন্ন
কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: