05 June 2018

আফগানিস্তানে ট্রাম্পের নতুন দক্ষিণ এশীয় কৌশলে সহিংসতা বেড়ে চলেছে


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর নতুন দক্ষিণ এশিয়া কৌশল ঘোষণার পর আফগানিস্তানে সহিংসতা ও প্রক্সি যুদ্ধের তীব্রতা অনেক বেড়ে গেছে।

আফগান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ- ওলেসি জির্গার অনেক সদস্য এ অভিযোগ করে দাবি করছেন, তাদের দেশে সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র সৎ নয়।

এমপি আব্দুল রহিম আইয়ুবি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান, রাশিয়া, চীন বা পাকিস্তানের উত্তেজনা দেখা দিলেই এসব দেশ আফগানিস্তানে এসে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

বর্তমানে আফগান সরকারি বাহিনী অন্তত ১০টি প্রদেশে তালেবান ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়।

আরেক এমপি জালমাই মুজাদ্দেদি বলেন, ‘যতদিন আমরা সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করব, ততদিন আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না।

এমপি সাকি মাশওয়ানি বলেন, ‘আফগানিস্তানের অনেক প্রদেশেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়।

আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত বছর আগস্টে নতুন কৌশল ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, আফগান সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানে থাকা সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়গুলো গুঁড়িয়ে দিতে ইসলামাবাদের ওপর নতুন করে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে ওয়াশিংটন।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ- মেশরানো জির্গার (সিনেট) সদস্যরা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট কিছু করছে না বলে অভিযোগ করার পর দিনই ট্রাম্প ওই ঘোষণা দেন।

সিনেটররা জানান, কাবুল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

তবে, এখন সিনেটররা কাবুল ও ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি (বিএসএ) পর্যালোচনার দাবি তুলেছেন। কারণ এই চুক্তি আফগানিস্তানকে স্থিতিশীলতা দিতে পারেনি।

চুক্তিটি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে বলেও সিনেটররা অভিযোগ করেছেন।

ওয়াশিংটন ও আফগানিস্তানের জাতীয় ঐক্যের সরকারের মধ্যে ২০১৪ সালে নিরাপত্তা চুক্তিটি সই হয়। এই চুক্তি আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিএসএ ছাড়াও ন্যাটোর সঙ্গে স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস অ্যাগ্রিমেন্ট (সোফা) রয়েছে কাবুলের।

সোমবার কাবুলে একটি ধর্মীয় নেতাদের সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হওয়ার পর পরই দেশটির এমপিরা এ দাবি তোলেন।

কাবুল পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির কাছে লয়া জির্গার গ্রান্ড এসেমব্লি টেন্টে দুই হাজারের বেশি ধর্মীয় নেতার এক সমাবেশের কাছে ওই হামলা চালানো হয়। সমাবেশ থেকে আত্মঘাতী বোমা হামলার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন ধর্মীয় নেতারা। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।


শেয়ার করুন

0 facebook: