![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন শ্রমিকরা। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস চাপায় দুই শিক্ষর্থী নিহতের ঘটনায় পাঁচদিন ধরে চলা আন্দোলনের পর গণপরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ শুক্রবার যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় গণপরিবহন দেখা যায়নি। যে কয়টি চলছে তাতেও তিল ধারণের জায়গা নেই। রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা কয়েকটি কোম্পানির বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,পরিবহণের মালিকপক্ষের ডাকা ধর্মঘটের কারণে গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে ট্রাফিক পুলিশসহ কয়েকটি পরিবহন মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালিকসমিতি কোনো ধর্মঘট ডাকেনি। বরং শ্রমিকরাই গাড়ি বের করছেন না। এমনকি বিভিন্ন পরিবহণ থেকে তারা যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন।
সকাল থেকেই দেশের ঢাকার রাজপথে তেমন গণপরিবহন দেখা যায়নি। দূরপাল্লার কোনো বাসও ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়নি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বেনাপোল ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো বাস ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল একটি গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে। তারা বাসে ভাঙচুর চালাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে তারা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে রাতে বাস চলবে।
এদিকে এসব জেলার বাস না চলার এমন সিদ্ধান্তের কথা অনেকেই জানতেন না। সে কারণে অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বগুড়া থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে এই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ এবং ঘাতক চালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা গাড়ির লাইসেন্স যাচাই-বাচাই করে। মন্ত্রী, এমপি ও সচিবের গাড়িচালকদের লাইসেন্স না থাকায় তাদের গাড়ি আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। মিরপুর-১০ এ বিকালের দিকে আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও বহিরাগতরা। এ সময় বেশকিছু যুবককেও লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের পেটাতে দেখা যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।
এদিন ভাংচুরের ভয়ে দূরপাল্লার পরিবহনও চলাচল করতে দেখা যায়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছে, স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে থাকবে। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা না আসা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: