![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ উপজেলা নির্বাচনে ভোট কম পড়ার অভিযোগ করছে বিএনপি। তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ নিলো না কেন? এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিএনপি অংশ নিলেইতো ভোট বেশি কাস্ট হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির এক সেমিনারে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে হানিফ বলেন, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে শতকরা ৪০ ভাগের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবারই অভিযোগ করে আসছে, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় ২০/২৫ শতাংশের বেশি ভোট কোনো সময়ই পড়ে না। এটাকে তাদের ওখানে অনেক ভোট হিসেব করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, সেহেতু এখানে ভোট কাস্টিংটা একটু বেশি হয়। সেই হিসেবে ৪৫ শতাংশ যথেষ্ট।
বিএনপিকে বলতে চাই আপনারা নির্বাচনে অংশ নেননি কেন। আপনাদের কথা অনুযায়ী ভোট যদি কমই পড়ে থাকে তাহলে নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনে এলেইতো ভোট কাষ্ট বেশি হতো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপির কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই। তারা কখন কি চায় তা নিজেরাই বলতে পারে না। আপনারা একদিকে বলেন আইনের শাসনের কথা, আরেকদিকে যখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে খালেদা জিয়া অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে তখন, আপনারা বলেন তাকে মুক্তি দিতে হবে। আপনাদের নেতিবাচক নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের মতো নেতিবাচক রাজনীতি এদেশে না থাকলে দেশ আরও আগে অনেক এগিয়ে যেতো।
তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের কারণে কারাগারে এবং দেশের বাইরে পলাতক। বিএনপি এখন নেতৃত্বহীন দল। ব্যর্থ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক দল সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তারা আজকে রাস্তায় নেই। তারা রাস্তা হারিয়ে অন্ধকার গর্তের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই তাদের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে বারবার সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে চায়।
হানিফ বলেন, বিএনপির কারণে দেশ অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলো। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৩ সালে সাবমেরিন ক্যাবলের কানেকটিভির জন্য বিনা পয়সায় অফার করা হয়েছিল। তখন বলেছিল যে, গোটা বিশ্বের সঙ্গে যদি আমরা সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করি তাহলে বাংলাদেশের সব গোপন তথ্য পাচার হয়ে যাবে। এই যে অজ্ঞতা আমাদেরকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর।
0 facebook: