স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, অন্যায়ে লিপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বিষয় সবসময় লক্ষ রাখতে হবে- যারা অন্যায় করবে, সে যেই হোক, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে, সঙ্গে সঙ্গে এটাও দেখতে হবে যে, অযথা কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরে র্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দরবারে র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ভিডিও লিংকেজের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন র্যাব ফোর্সেস ইউনিটের সদস্যরাও অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী কুর্মিটোলায় র্যাব ফোর্সেসের সদর দফতরে পৌঁছলে তাকে র্যাবের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো সহজ হয়ে গেছে উলেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটা রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তবে, এই উন্নয়নের ধারাটা তখনই অব্যাহত থাকবে যখন আমরা দেশে বর্তমানের মতো শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ যারা করবে অর্থাৎ অপরাধীকে গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা সেটাও যেমন আমাদের কাজ তেমনি অপরাধের সঙ্গে কেউ যেন যুক্ত না হয় সেই ব্যবস্থাটাও আমাদের নিতে হবে। আর সেটা করতে হলে একটা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।
তিনি বলেন, দেশটার উন্নয়ন হলে কেউ গৃহহীন থাকবে না, সবাই আবাসন সুবিধা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ মৌলিক সুবিধাগুলো নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ পাবে। সমগ্র জাতিই উন্নত সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে উঠবে, যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, কাজেই র্যাবের সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে অবদান রেখেছে আমি এটুকু বিশ্বাস করি যে, দেশের মানুষেরও একটা আস্থা ও বিশ্বাস র্যাবের সদস্যদের প্রতি জšে§ছে এবং তারা র্যাবকে যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিষাক্ত কুফল তুলে ধরে সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য সরকারের সন্ত্রাস বাদবিরোধী গণসচেতনতা কার্যক্রমের ন্যায় সবাইকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত কর্মসূচি চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সন্ত্রাসবাদকে শুধু বাংলাদেশে নয় একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে বলেন, এটি বিশ্বব্যাপী বিরাজমান একটি সমস্যা হলেও এ ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।
সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির পেছনে অতীতে কতিপয় রাজনৈতিক দলের মদদ থাকার প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, এখানে দুর্ভাগ্য যে, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মদদ দিয়ে আসছে। যেমন, গত নির্বাচনে তারা একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, সেখানে র্যাবের একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের অফিস থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ ধরা পড়ে। আর এর পরেই আমরা দেখেছি তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: