স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ এলাকার সৌদি প্রবাসী মুহম্মদ
হাছান বদির স্ত্রী পরকীয়ায় পড়ে ২ সন্তানসহ উধাও হয়ে গেছে। যাবার সময় সাথে বাড়ির আসবাবপত্রও সাথে নিয়ে গেছে
বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী
মুহম্মদ হাছান তার দুই সন্তান ফিরে পেতে স্ত্রীর কাছে মোবাইল যোগে মায়াকান্না
করেও ব্যর্থ হয়েছেন। গত ২ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সৌদি প্রবাসীর ছোট ভাই মুহম্মদ
নবী হোসেন লুতু বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। যার নাম্বার সিআর ৪৮/৮৪। মামলার
আসামী করা হয়েছে- চকরিয়ার ডুলাহাজারা নতুন পাড়ার এনামুল হক সওদাগরের পুত্র পরকিয়া
প্রেমিক শামসুদ্দীন সওদাগর (৩২), স্ত্রী মিনুআরা বেগম (২৭), স্ত্রীর
ভাই কাউছার (২২), হেলাল উদ্দীন (২৬), শ্বাশুড়ী ফাতেমা
বেগম ও এনামুল হক।
মামলা সূত্রে
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী শরিয়ত মোতাবেক টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম
পানখালীর মৃত মুহম্মদ আলমের কন্যা মিনু আরার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ে পরবর্তী সংসারে
রিফাত হাসান (১০) ও রিহান হাসান (৭) ২ সন্তান জন্ম হয়। মুহম্মদ হাসান ছেলেদের
উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। এরই ফাকে ১নং বিবাদী শামসুদ্দীন
আত্মীয়তার সুবাদে বদির স্ত্রী মিনু আরা বেগমের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকায়
জানাজানি হলে গত ২ জানুয়ারী রাতে বর্ণিত বিবাদীদের সহযোগিতায় নগদ ২ লক্ষ টাকা,
৬টি
কম্বল, ২টি মোবাইল, ৫ ভরি স্বর্ণসহ বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে মিনি
ট্রাকযোগে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়।
অনেক খোঁজাখুজির
পর জানতে পারে ১ ও ২নং আসামী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ডুলাহাজারায় একটি ভাড়া বাসায়
অবস্থান করছে। স্ত্রী ফিরে না আসলেও সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করলেও তার
বিপরীতে আসামীদ্বয় ৩ লক্ষ টাকা তাদের মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণের কথা শোনে বদির পিতা ৪ জানুয়ারী হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও স্ত্রী মিনু আরার অবৈধ
চলাচলের কারনে ইতিপূর্বে ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল আদালতে একটি ডায়েরীও করেছিলেন বদি। যার নং ৫১/২০১৫।
এদিকে স্ত্রী ও
পরকীয়া প্রেমিকের মোবাইলের হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে এবং তার টাকা, স্বর্ণ
ও মূল্যবান জিনিসপত্র ও সন্তান ফিরে পেতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন
স্বামী সৌদি প্রবাসী মুহম্মদ হাছান প্রকাশ বদি।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: