স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, যশোর রোড বরাবর নতুন মহাসড়ক নির্মাণ করতে হলে স্থানীয় জনসাধারণের মারাত্বক ক্ষতি হবে। সেখানে জমির সঙ্কট রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে বহু লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে, যা একটি কঠিন কাজ বলে তিনি বর্ণনা করেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর রোডের প্রাচীন জরাজীর্ণ গাছগুলোকে রক্ষা করে নতুন মহাসড়ক নির্মাণ করতে হলে
শুধুমাত্র জমি কেনা বাবদ ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। তবে গাছগুলোকে রেখে রাস্তা প্রশস্ত করা যায় কি না, সড়ক বিভাগ সেটি এখন
বিবেচনা করছে বলে হোসেন জানান। তবে তা কতটুকু যুক্তিপূর্ণ তা ভাব্বার বিষয়।
যশোর শহর থেকে বেনাপোল
পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ৩৮ কি.মি.। এই রাস্তাটি সম্প্রসারণের প্রকল্পটি পাশ হয় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। সড়ক সম্প্রসারণের দু’পাশে থাকা গাছগুলো কেটে
ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে শুরু হয় অহেতুক তীব্র প্রতিবাদ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী এই রাস্তার
দুই পাশে গাছ রয়েছে ২৩১২ টি। এর মধ্যে দুশোর অধিক গাছ রয়েছে যেগুলোর বয়স ১৭০ বছরের বেশি যা প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে।
বেলায়েত হোসেন বলেন, ৩০শতাংশ শতবর্ষী প্রাচীন
গাছ মরে গেছে। এই গাছগুলো অপসারণ করা
প্রয়োজন। এছাড়াও কিছু গাছ রয়েছে
যেগুলো সড়কের ওপর চলে এসেছে যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওদিকে গত ১৮ই জানুয়ারি হাইকোর্টে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছ’মাসের জন্য গাছ কাটার ওপর
স্থগিতাদেশ জারি করেছে। যশোর রোড কলকাতা থেকে যশোর পর্যন্ত বিস্তৃত। পেট্রাপোল থেকে কোলকাতা পর্যন্ত চার লেনের সড়ক ও হচ্ছে। তবে সেখানেও গাছ কাটার ওপর
আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
0 facebook: