![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর সংসদীয়
গণতন্ত্রে মন্ত্রীদের পদে থাকা না থাকা নির্ভর করে। যেকোন মন্ত্রীকে
যেকোন সময়ে অপসারণ করতে পারেন অথবা পদত্যাগ করতে বলতে পারেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার সময়কালের প্রান্ত
সীমায় এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারের কিছু মন্ত্রীর অদক্ষতা, ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতা পুরো সরকারের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে নির্বাচনের ১০ মাস আগে।
হাতে গোনা কজন
মন্ত্রীর ব্যর্থতার বোঝা বইছে আওয়ামী লীগ সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মন্ত্রিসভার ব্যর্থরা কি জবাবদিহিতার উর্ধ্বে? তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?
এর মধ্যে সবার
আগে নাম আসছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের। প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী অসহায়
আত্মসমর্পন করেছেন দুর্বৃত্তদের কাছে। মন্ত্রণালয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং কতৃত্ব দুইই হারিয়েছেন
শিক্ষামন্ত্রী। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার
হয়েছেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। জাতীয় সংসদে একবার নয় কয়েকবারই তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রীর উপর জনগণের
ক্ষোভ সরকারের কাঁধে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
এর পরের
অবস্থানে আছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো একমাসের বেশি সময় ধরে অচল। কমিউনিটি ক্লিনিক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০ টি উদ্যোগের অন্যতম। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য এটি একটি অনন্য মডেল। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রণালয়ের জন্য সময় নেই। তিনি ব্যস্ত নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ১৮ জানুয়ারি
এক প্রতিবেদনে ‘ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে
দুর্নীতির আখড়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই প্রতিবেদনে ‘মন্ত্রণালয়ের
শীর্ষ ব্যক্তিদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্ত্রণালয় চলছে বলেও
মন্তব্য করা হয়।’
দুদকের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনাকাটার নামে এই মন্ত্রণালয়ে
দুর্নীতির উৎসব চলছে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধরাছোঁয়ার বাইরে। দুদক যখন তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ১৭ টি
সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীসহ
মন্ত্রিসভার সদস্যদের শীতল পাটি উপহার দিয়ে শীতল করে রেখেছেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বড় পদে যারা
আছেন তাদের সবারই এখন এক বা একাধিক ফার্মাসিউটিক্যালস রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে কোনই মাথা ব্যাথা নেই
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
আর অর্থমন্ত্রী
হচ্ছেন সব জবাবদিহিতার উর্ধ্বে। তিনি নিজেই একেকটা ব্যাংক লুটপাটের ‘রাবিশ’ তথ্য জাতির সমানে তুলে ধরে চমক দেখাচ্ছেন। অথচ আজ পর্যন্ত একজন ব্যাংক
লুটেরার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক,
জনতা ব্যাংক, ফারমার্স
ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কোমায় চলে গেছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর হাসি এতটুকুও ম্লান হয়নি।
খাদ্য নিয়ে কথা
বলতেও জনগণের অরুচি এসে গেছে। এজন্য এনিয়ে মানুষ এখন কথা বলে না, ক্ষোভে ফুসতে
থাকে। গম কেলেংকারী থেকে চাল- সব
কেলেংকারী মাথায় নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী দিব্যি বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে নসিহত করেন।
তালিকায় এরপরেই
রয়েছেন তরুণ মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সরকার সবচেয়ে যে খাতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চেয়েছিল সেই
খাতের উন্নয়ন হতটুকু হয়েছে তা এখন খুবই হিসাব সাপেক্ষ। অথচ মন্ত্রীর সম্পদ গত কয়েক বছরে কয়েকশ গুন বেড়ে গেছে।
তারপরেও এই
কয়েকমন্ত্রী বহাল তবিয়তে ঘুরে ফিরে খাচ্ছেন।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: