স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে ২৭০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ, যদিও এগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে তবুও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিগত অন্যান্য সরকারের শাসনামলে দীর্ঘদিন অবহেলিত রেলওয়েকে উন্নতির শিখরে নেয়ার জন্য বর্তমান সরকার তৈরি করেছে ২০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান। চার ধাপে চলছে এই উন্নয়নের কাজ।
২০২২ সালের মধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলমান দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, ট্রেনে চেপেই ঘুরে আসা যাবে থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুর!
রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত ৬৪টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার বিপরীতে ৯ হাজার ১৫৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ। এর মধ্যে এডিবির অর্থায়নে টঙ্গী- ভৈরববাজার সেকশনে ৬৪ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ, জাইকার অর্থায়নে চিনকী আস্তানা-লাকসাম সেকশনে ৬১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ রয়েছে। উন্নয়নের এ তালিকায় আরো আছে ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনের বিপরীতে দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতু নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ।
এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে নতুন রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত ৩৫ কি:মি: নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।
ফলে রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক এর সাথে গলা মিলিয়ে আমরা বলতেই পারি, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই ট্রেন চলবে, মানুষের প্রধান বাহন হবে ট্রেন। তখন দেশেই তৈরি হবে রেলওয়ের ইঞ্জিন ও কোচ’।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: