![]() |
ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর নতুন করে পথ চলার চিন্তা করছে ঐক্যফ্রন্ট। ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে ফ্রন্টের নেতারা আজ আবার জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। জানা গেছে, এ বৈঠকে সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কিছু কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। ফ্রন্টের প্রার্থীদের খুব কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইনও দেয়া হবে।
কর্মসূচি নির্ধারণে আজ বিকেল ৪টায় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় বৈঠক রয়েছে স্টিয়ারিং কমিটির। এ কমিটির এক নেতা গতকাল বলেছেন, নির্বাচনে প্রকাশ্য অনিয়মের পরও তারা বড় কোনো প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেননি এটা সত্য, কিন্তু বাস্তবতার নিরিখেই পথ চলতে হচ্ছে তাদের। নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ‘হতাশা’ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এ জন্যই ধীরে এগোতে হচ্ছে তাদের।
জাতীয় নির্বাচনের পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে গতকাল। ফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, পরিস্থিতি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। জনগণের ভোটাধিকার দমিয়ে রেখে সরকার সামনে হাঁটছে। এই পথ অস্বাভাবিক।
কী ধরনের কর্মসূচির চিন্তা করা হচ্ছে, জানতে চাইলে ফ্রন্টের এক নেতা বলেন, তারা ইতোমধ্যে নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য জানিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকটিও ফলপ্রসূ ছিল। সেখানে তারা সব অনিয়ম জালিয়াতির তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছেন। অনেকে তাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। আগামী দিনে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চিন্তা করা হচ্ছে।
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শিগগিরই বড় কোনো কর্মসূচির দিকে তারা যাচ্ছেন না। সারা দেশে অন্তত ২১ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার রয়েছে। তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিএনপির এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা সরকার গঠন করেছে। এই সরকারের নীতি কী হয়, আচরণ কী এসব দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একইসাথে সংগঠন পুনর্গঠনে মনোযোগ দিতে হবে।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচন কমিশন গঠিত ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ করা উচিত ধানের শীষের প্রার্থীদের। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যে অনিয়ম হয়েছে তাও তুলে আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির সামনে আরেকটি বড় কাজ আছে। তা হলো, শিগগিরই দলের কাউন্সিল করা উচিত। দলকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। এ জন্য নির্বাচিত স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করতে হবে। সব কমিটিই করতে হবে নির্বাচিতদের নিয়ে, মনোনীতদের নিয়ে নয়।
জানা গেছে, বিএনপির অভ্যন্তরে শিগগিরই নির্বাহী কমিটির বৈঠক আহবানের তাগাদা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রার্থীরা দলীয় ফোরামে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে চান। গত ৩ জানুয়ারি ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকেছিল বিএনপি। জানা গেছে, ওই বৈঠকে বেশ কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। তখন নেতারা তাদের বলেছেন, শিগগিরই দলীয় ফোরামে সব বিষয়ে আলোচনা হবে।
0 facebook: