ঘটনা হল, দলিত সম্প্রদায়ের হরেশ সোলাঙ্কি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন উচ্চবর্ণের ঊর্মিমালা বেনের সঙ্গে। ছ’মাস আগে মা-বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে সোলাঙ্কি বিয়ে করেছিলেন ঊর্মিমালাবেনকে। তারপরেই তাকে নিয়ে নিজের বাড়ি গান্ধীধাম চলে আসেন সোলাঙ্কি। যেখানে থাকেন সোলাঙ্কির বাবা-মাও। ঊর্মিমালার পরিবার বিয়েতে রাজি না থাকলেও এই বিয়ে মেনে নিয়েছিলেন সোলাঙ্কির পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেয়ের পরিবার চেয়েছিলেন এই বিয়ে ভেঙে দিতে। তারা তাদের মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তাকে ফিরিয়ে আনতে পারছিলেন না। তারা মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।’ এরপরেই পরিবারের কথা মত ভারমর গ্রামের বাড়িতে কথা বলতে যান ঊর্মিমালাবেন। দুমাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সোলাঙ্কির।
এর নেপথ্যেও রয়েছে আরও একটি ঘটনা! ঊর্মিমালা ভারগ্রামে যাওয়ার পরে স্ত্রীর সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগই করতে পারছিলেন না সোলাঙ্কি। তার মা-বাবা চাইছিলেন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে। নিজের ভাবি সন্তানের জন্যও চিন্তায় ছিলেন তিনি। এই ঝামেলা চিরতরে মেটাতে মহিলা সহায়তা কেন্দ্রের শরণাপন্নও হয়েছিলেন সোলাঙ্কি। ১৮১ নম্বরে ফোন করে ঊর্মিমালাবেনের পরিবারের কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দেন তিনি। সেইমত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি রওনা দেন মহিলা সহায়তা কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে। ঊর্মিমালার বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই গাড়ির ভিতর অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে গাড়ি থেকে নেমে হেল্পলাইন সার্ভিসের কর্মকর্তারা তার শ্বশুরদের বাড়িতে গিয়ে উর্মিলাবেনকে পাঠাতে রাজি করার বিষয়ে চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু হঠাৎই সেই সময় ঊর্মিমালার এক নিকট আত্মীয় এসে খবর দেন, সোলাঙ্কি গাড়ির ভিতর বসে আছে। আর একথা শোনা মাত্রই বাড়ির ভিতর থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রে রে করে ছুটে যান বাড়ির সদস্যরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর চোট পান সোলাঙ্কি। সেই সঙ্গে শরীরের বাকি অংশগুলিতেও গুরুতর চোট পান। আঘাত সহ্য করতে না পেরে তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সোলাঙ্কির পাশাপাশি আহত হন সহায়তা কেন্দ্রের একজন আধিকারিকও।
ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তপশিলী জাতি-উপজাতি আইনে খুন, দাঙ্গা, সরকারি কর্মীর উপর আঘাতের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: