এ পর্যন্ত আটটি বিমানে করে এস-৪০০’র বিভিন্ন অংশ তুরস্কে আনা হয়েছে |
সোমবার ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রজব তৈয়ব এরদোয়ান এ কথা জানান। খবর স্কাই নিউজ অ্যারাবিকের। রজব তৈয়ব এরদোয়ান বলেন, যারা আমাদের দেশের উপর আক্রমণ করতে চায়, তাদের জন্যই এই এস-৪০০, যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ হিসাবে এটি করছি এবং আমরা তা চালিয়ে যাব।
এরই মধ্যে এস-৪০০ এর যন্ত্রাংশ নিয়ে ৮টি বিমান তুরস্কে নেমেছে বলে জানান তিনি। তুরস্ক আড়াইশ কোটি ডলার ব্যয়ে রাশিয়ার অত্যাধুনিক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা ছাড়াও এ ব্যবস্থার প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ওই অঞ্চলে ন্যাটোর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে না। তারা বলছেন, এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান এবং এস-৪০০ ব্যবস্থা কাছাকাছি থাকা ঠিক না। এতে রুশ টেকনিশিয়ানদের এফ-৩৫ এর দুর্বলতা খুঁজে বের করে ফেলতে পারার আশঙ্কা আছে।
তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিলে তাদেরকে এফ-৩৫ কর্মসূচি থেকে বের করে দেয়াসহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: