![]() |
স্টাফ রিপোর্ট।। হাজার হাজার বছর ধরে চলা পবিত্র কুরবানির বর্জ্যকে কথিত দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে তা এড়াতে নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানির চক্রান্তে নগরবাসীর সাড়া না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সে বলেছে, আগামীতে যত্রতত্র পশু জবাই ও বর্জ্য ফেলে রাখলে নগর কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
অবশ্য কোন আইনে কী ধরনের ব্যবস্থা সিটি করপোরেশন নেবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি মেয়র।
এবার ঈদুল আযহায় রাজধানীতে প্রায় পাঁচ লাখ পশু কুরবানীর জন্য দুই সিটিতে ৮৭৫টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বছর মহাখালী পশু জবাইখানাসহ ২৭৩টি স্থানে পশু কুরবানীর ব্যবস্থা করে। এছাড়া কুরবানী করা যাবে এ রকম ৪০০টি স্থান চিহ্নিত করে দেয়।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবার ৬০২টি স্থান পশু কুরবানীর জন্য নির্ধারণ করে দেয়।রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনের পাশে পশু জবাই রোখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয় দুই সিটিই।
কিন্তু সোমবার ঈদের দিন নাগরিকরা সিটি কর্পোরেশনের কথিত নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানি দিতে আগ্রহ দেখাননি খুব একটা। বরং যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিয়মে সকাল থেকে রাজধানীর অলিতে গলিতে, প্রধান সড়কের ওপর পশু কুরবানী দিয়ে গোশত কেটে বরাবরের মতই গরীব মিসকিনকে তাদের হক্ব বুঝিয়ে দেন। যথারীতি নিয়মে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় বাড়তে থাকে পবিত্র রক্তমেশা পানি আর বর্জ্যের স্তূপ।
কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের অবহেলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আশানুরূপ গতি পায়নি বলে জানা যায়। এদিকে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিক বলেছে, “পশু কুরবানীর স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নগরবাসীর অনেকে সেখানে আসেননি। অনেকে সড়কেও কুরবানী দিয়েছেন।
“এটা দুঃখজনক। তারা যদি সেখানে এসে কুরবানী দিতেন, তাহলে আমরা দ্রুত বর্জ্য সংগ্রহ করে তা অপসারণ করতে পারতাম।”
মেয়র বলেছে, “আগামীতে কেউ যদি যদি যত্রতত্র পশু কুরবানী দেন, তাহলে ডিএনসিসি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
সে জানায়, এবার ঢাকা উত্তরে আড়াই লাখেরও বেশি পশু কুরবানী হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪৩৮টি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে।
সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কুরবানী না দেওয়ার কারণ হিসেবে নগরবাসী বলছেন, নিজের বাসা থেকে বহু দূরে গিয়ে তারা কুরবানী দিতে চান না। অনেকে বলেছেন, নির্ধারিত স্থানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, কসাই ও হুজুর নেই।
এদিকে নাগরিকদের নির্ধারিত স্পটে কুরবানি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা চালালেও ঢাকার দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাঈদ খোকন কিন্তু নিজেদের বাড়িতেই পশু কুরবানি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা।
মেয়র সাঈদ খোকন মঙ্গলবার নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, “বিভিন্ন কারণে মানুষ তার বাসায় এবং আঙিনায় কুরবানী দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। অল্প সংখ্যক নাগরিক আছেন, তারা নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী দিচ্ছেন।
“আশা করি আগামীতে আরও বেশি করে আমাদের সম্মানিত নাগরিক নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানী দেবেন।” এজন্য আগামীতে যত্রতত্র কুরবানী করা থেকে নগরবাসীকে বিরত রাখতে উদ্ভাবনী প্রচারাভিযান চালাবে ডিএনসিসি।
নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানীতে নগরবাসীকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ‘আরো আধুনিক উপায়ে’ পশু কুরবানীর বন্দোবস্ত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় আতিক। সে বলে, “বেঙ্গল মিটের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগামীতে আমরা পশু কুরবানীতে নতুন প্রযুক্তি… মেকানিক্যাল প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চাই।” (যা ইসলামী শরীয়তে হারাম)
এ বছর কুরবানীর পশুর বর্জ্য রাখার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন কিছু পচনশীল ব্যাগ সরবরাহ করেছিল। আগামীতে সেই ব্যাগ সরবরাহের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে জানায় সে।
পরিশেষে, তাদের দাবী- দুই সিটিতে ৫ লক্ষ কোরবানী হয় (মূল হিসেব আরো ৬ গুন বেশি)সেক্ষেত্রে সরকার স্পট দিয়েছে ৮৭৫টি। তাহলে গড়ে প্রতি স্পটে কোরবানী দিতে হবে ৫৭১টি কোরবানী। এবার আপনারা ছবিতে দেখুন, স্পটের সাইজ, এখানে ৫৭১টি কোরবানী দেয়া কি সম্ভব?
এখানে ২০০ বার সিরিয়ালেও তো ৫৭১টি কোরবানী হবে না। কিন্তু মেয়র যেহেতু বলছে এখানেই কোরবানী দিতে হবে, না হলে আইনী ব্যবস্থা নেবে তখন তো মানুষ আইনের ভয়ে কোরবানী দেয়াই ব্ন্ধ করে দিবে। তারমানে সরকার আইন করে কোরবানী বন্ধ করতে চাইছে, যেটা ভারতে হয়েছে।
![]() |
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্মীয় বিদ্বেষ
this is the indian dalal
ReplyDelete