স্বদেশবার্তা
ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পর্দায়
কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বোরকায় মুখ ঢেকে রাখবেন, আপনি আমাকে দেখবেন, কিন্তু
আমি আপনাকে দেখতে পাব না। একটি গ্রেনেড মেরে চলে যাবেন, এ অপকৌশল
চলবে না। এটি জঙ্গিবাদী অপকৌশল।
কৃষিমন্ত্রী
রোববার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেদিকুড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে
গরিবদের মাঝে বস্ত্র বিতরণকালে কাপড় নিতে আসা বোরকায় মুখ ঢাকা এক নারীকে দেখে এসব কথা
বলেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন,
‘আপনারা খুব পর্দানশিন, আমরাও বেহায়া বেশরম না। বাংলাদেশের রাস্তা
দিয়া হাইট্যা পথ ভাইঙ্গাই এ পর্যন্ত আসছি। আপনি মুখ ঢাকতে হলে বাড়িতে গিয়ে ঢাকবেন।
পাবলিক প্লেসে এলে মুখ খোলা রাখতে হবে। পাসপোর্ট করতে গেলে মুখ খোলা রাখতে হয়। পাসপোর্ট
না হলে হজে যেতে পারবেন না। হজের ড্রেসের বাইরে বাড়তি কোনো ইয়ের দরকার নেই।’ তিনি
প্রশ্ন করে বলেন, শেখ
হাসিনা যে ড্রেস পরেন, উনি
তো মুখ ঢাকেন না। উনার কি পর্দা হয় না?
মন্ত্রী
আরও বলেন, জঙ্গিদের
কাছে নারীরা হচ্ছে হাত বদলের জিনিস। ওদের ভাষায় তথাকথিত জিহাদে মারা যাওয়ার আগেই ওরা
ঠিক করে যায়, সে
মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী আবার কার হবে। জন্মদাতাকেও ইসলাম তার সন্তানকে হত্যা করার
অধিকার দেয়নি। আর যারা ইসলামের নামে মানুষ খুন করে তারা ইসলামের শত্রু। তিনি বলেন, আমরা
জানি, এদের
(জঙ্গিবাদ) সোর্স হল আমেরিকা। এ সম্বন্ধেও আমাদের চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে।
মন্ত্রী
দিনব্যাপী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গরিবদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে
পাওয়া শাড়ি, নিজ
তহবিল থেকে ট্রাউজার, শার্ট
ও গেঞ্জি এবং ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শাড়ি ও থ্রিপিস বিতরণ করেন।
এছাড়া তিনি সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর ২৬ জন বিধবাকে ২ হাজার করে নগদ অর্থ, ৪ জন
বিধবাকে হুইল চেয়ার এবং পৌর শহরের এক হাজার চারশ’ নারী শ্রমিককে একটি করে শাড়ি দেন। এ সময়
তার সঙ্গে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ
সুপার রফিকুল হাসান গণি,
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, নালিতাবাড়ী
উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল
রহমান, উপজেলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ দলীয় নেতাকর্মী
ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ যুগান্তর।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্মীয় বিদ্বেষ
নিজেরাই জঙ্গি আবার অপরকে বলে
ReplyDeleteএই ইসলাম বিরোধী ধর্ম বিদ্বেষী নারী সে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেত্রী।আবার শেখহাসিনা বলে আওয়ামী লীগ ইসলাম বিরোধী না।আসলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামীলীগ ইসলাম বিরোধী ইসলাম বিদ্বেষী।
Deleteনিজেই মুফতি সেজে ফতোয়া দিচ্ছে
ReplyDelete