19 January 2018

ইয়েমেনবাসীর দুর্ভিক্ষে পতিত হওয়ার জন্য দায়ী কে?

স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সৌদি জোটের ইয়েমেনের বিরুদ্ধে করা আগ্রাসনে ৫ হাজারের বেশি শিশু হতাহত হয়েছে ইতোমধ্যে। এছাড়া ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার ৪ লক্ষাধিক শিশু। এসব শিশু যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। ইউনিসেফ এর এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ২০১৫ সালে সৌদি জোটের আগ্রাসনের পর থেকে প্রায় দুই কোটি শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এসব শিশুর অধিকাংশই কেউ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, কেউ ভিক্ষা করছে।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি ইয়েমেনের ওপর সৌদি জোটের অবৈধ অবরোধের কারণে মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অবরোধের আওতায় দেশটির কয়েকটি বন্দর বন্ধ রয়েছে।

বন্দরগুলো বন্ধ থাকায় দেশটির জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটির প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু বন্দরে অচলাবস্থার কারণে সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করছে। এদিকে খাদ্য ও পানির অভাবে লাখ লাখ মানুষ কলেরা ও ডিপথেরিয়ার মহামারিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

অবরোধ শিথিলের মাধ্যমে বন্দরগুলো খুলে দেয়া হলে এবং প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি করা গেলে এ সংকট অনেকাংশে সমাধান হতো বলে মনে করছে জাতিসংঘ। মার্কিন সংস্থা ফেমাইন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে লোহিত সাগরের দুই বন্দরে অবরোধ চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে।

মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন বলা হয়, ২০১৮-এর জুলাইয়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে। ইয়েমেনে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। আমদানির ৮৫ শতাংশই থাকে খাবার ও ওষুধ। মানবিক দিক বিবেচনা করে ৩০ দিনের জন্য সোমবার বন্দর খুলে দেয়া হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইয়েমেনের পরিচালক স্টিফেন এন্ডারসন বলেছেন, বন্দরের অবস্থা এমন থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।


শেয়ার করুন

0 facebook: