আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ জিউনাইটেড স্টেট খ্যাত সন্ত্রাসী সংঘঠন আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় পরাজিত হলেও তাদের
নেটওয়ার্ক বিস্তার সারাবিশ্বেই অব্যাহত রেখেছে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার
কতিপয় দেশে প্রতিনিয়তই হামলা চালাচ্ছে আইএসের সদস্যরা। সন্ত্রাসীগোষ্ঠীটি এবার
ফিলিস্তিনে তাদের ঘাঁটি গাড়তে চায়।
২০১৪ সালের জুনে
ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখলের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসের উত্থান
ঘটে। এরপর ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী।
দখল করে নেয় এ বিস্তীর্ণ এলাকার সব তেলের খনি। জনগণের ওপর চালায় অবর্ণনীয় অত্যাচার,
নিপীড়ন
ও সহিংসতা। তিন বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অবশেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে
পতন হয় সন্ত্রাসী আইএসের।
আইএসের উত্থানের
ছয়মাস পর এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনী
প্রচারণার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের একটি
সম্মেলনে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সরকার ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটিতে
শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে, সন্ত্রাসী সংঘঠন আইএসের কালো পতাকা উড়তে পারে সেখানে।
তিনি আরও বলেন,
ফিলিস্তিনে
নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিলে সেখানে আইএস প্রবেশের পথ সুগম হবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত হলে একটি শান্তিচুক্তিতে উপনীত হতে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলকে চাপ দেবেন।
তবে সেই সময় দুই রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে মধ্যস্থতা করার জটিলতাও তিনি স্বীকার করেন। হিলারির
সেই ভবিষ্যদ্বাণী বা ইঙ্গিত সত্য করে ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী জাল বিস্তার করতে শুরু
করেছে আইএস।
ইসরাইলি পত্রিকা
হারেৎজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেম
ঘোষণার প্রতি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের দুর্বল প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ এনে
হামাসের সদস্যদের দলে ভেড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ট্রাম্পকে তারা ‘ভীমরতিগ্রস্ত
ক্রুসেডার’ বলেও আখ্যায়িত করেছে। তবে জেরুজালেম ইস্যুতে আইএসের
এ তীক্ষ্ণজিহাদি প্রতিক্রিয়ার এখন অন্য অর্থও খুঁজে পাচ্ছে বিশ্লেষকরা। বিশ্বের
জন্য ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএস ‘ইহুদিদের এজেন্ট’
হিসেবে
কাজ করছে এমন অভিযোগ করছেন অনেকেই।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: