স্বদেশবার্তা
ডেস্কঃ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন সিনিয়র
সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) পিস্তল কেড়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া এএসপিকে তেড়ে মারতে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে সেই ওসির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বরাবর এক আবেদনে এসব অভিযোগ
করেছেন সিনিয়র এএসপি মুহম্মদ তৌফিকুল ইসলাম। এ
ছাড়া মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুহম্মদ আহসান উদ্দীন মুরাদের
ওপর ওসি মাঈন উদ্দিনের হামলার চেষ্টা এবং হুমকি সংবাদ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি
গঠন করেছেন।
মানিকছড়ি
সার্কেলের সিনিয়র এএসপি তৌফিকুল ইসলাম
জানান, গত ১০ জানুয়ারি সার্কেলের একটি অনুষ্ঠান শেষ করার পর
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত উপজেলা
হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে
ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে এক সপ্তাহের বিশ্রাম দেন। একটু সুস্থ অনুভবের পর ১২ জানুয়ারি তাঁর দেহরক্ষী
আবু জাফর জানান, অস্ত্র ও ওয়্যারলেস মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ খবর পেয়ে তিনি দ্রুত মানিকছড়ি থানায় চলে যান। থানায় গেলে ওসি মাঈন উদ্দিন তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং তাঁকে মারতে
উদ্যত হন। এ সময় দায়িত্বরত কয়েকজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে
উদ্ধার করেন।
এসব বিষয়ে ওসি
মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘সিনিয়র এএসপির তো কোনো অস্ত্র নেই। বডিগার্ড থাকে। তিনি অস্ত্র বহন করেন। আমি অস্ত্র ও ওয়্যারলেস
জেলা পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছি।’ তবে এএসপি তৌফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান ওসি।
মানিকছড়ির ইউএনওর
সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ওসি জানান, উপজেলার নয়াবাজার এলাকায় বিদেশি পর্যটকদের চেক
পোস্টের অফিসের চাবি আনতে গেছি। ইএএনও স্যার চাবি
দেননি। এর থেকে আর বেশি কিছু হয়নি।
এদিকে ইউএনওর উপর
সাদা পোশাকে দলবল নিয়ে হামলার চেষ্টা, হুমকি প্রদান ও গুরুতর অসদাচরণের
অভিযোগে পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। আগামী সাতদিনের
মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
চট্টগ্রাম বিভাগ
0 facebook: