স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ১ হাজার ৫৩২ একর জমিতে সেনানিবাস হচ্ছে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী লেবুখালীতে। নতুন এই সেনানিবাসের জন্য ১৫ হাজার ৫১২টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বেলা আড়াইটায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে পদ সৃষ্টির এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। এর আগে ২০১৪ সালের ২৫শে জুন বরিশাল সেনানিবাসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পাওয়া যায়। এরপর দুই বছর ধরে প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ডিপিপি একনেকে অনুমোদনের পর কাজ শুরু হয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে কোনো সেনানিবাস নেই। অথচ এ অঞ্চলটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্যোগপূর্ণ। এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনকে এ অঞ্চলের ২১ জেলার প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার দায়িত্ব পালন করতে হয়-যা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারণে সেনানিবাসটি স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মাত্র তিনটি ব্রিগেডের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বর্তমানে নয়টি ডিভিশন এবং ৩০টি সেনানিবাস রয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই ফোর্সেস গোলের আওতায় বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী স্থান লেবুখালীতে একটি পদাতিক ডিভিশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলে প্রধানমন্ত্রী এটি অনুমোদন দেন। বরিশালের সেনানিবাসের জন্য ১ হাজার ৫৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
বরিশাল বিভাগ
0 facebook: