![]() |
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্কঃ আগামী তিন
মাসের মধ্যে রাজধানী ঢাকা আর দুই বছরের মধ্যে দেশের আনাচে কানাচে পৌছে যাবে চতুর্থ
প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফোর-জি। আর এ সেবা পৌছে দেবে দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল সংযোগ অপারেটর গ্রামীণ ফোন। নিলামের মাধ্যমে ফোর-জি সেবার
স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ বরাদ্ধ নেওয়ার পর এ কথা জানায় নরওয়ে ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
গত কাল সকালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুরেলটরী কমিশন বা
বিটিআরসি ফোর-জি তরঙ্গের জন্য নিলাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে অংশ নেয় মোবাইল সংযোদ প্রদানকারী অপারেটর গ্রামীণ
ফোন এবং বাংলালিংক। উক্ত নিলামে ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে গ্রামীণ ফোন। যার মোট মূল্য ছিল ৩১ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার।
এ উপলক্ষ্যে
রাজধানীর একটি হোটেলে নিলাম উত্তর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ফোন
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, নিত্য নতুন ফিচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিতে সবসময় বদ্ধ
পরিকর। তারই অংশ হিসেবে দেশে ফোর-জি/এলটিই
সেবা চালু করনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রামীণ ফোন। টেলিনর গ্রুপ (গ্রামীণ ফোনের মালিকা প্রতিষ্ঠান) হিসেবে
আমরা ১১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ফোর-জি সেবা চালু করতে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে
বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
এসময় তিনি বলেন,
লাইসেন্স পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পুরো ঢাকাজুড়ে পাওয়া যাবে
এই ফোর-জি সেবা। আর পুরো দেশজুড়ে তা পাওয়া যাবে আগামী দুই বছরের মধ্যে।
একই ধরনের কথা
বলেছে অপর দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠান রবি এবং বাংলালিংক। তবে তাদের এই ঘোষণার পর কিছুটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া
পাওয়া গেছে দেশের সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে।
এ নিয়ে হুমায়ুন
পাটোয়ারি নামে একজন লিখেছেন, ‘সব জায়গায় এখনও ২জি ই ঠিক মতো
চলে না। আবার ফোর জি!’
মাশরেফা
মুনতাহা নামে একজন লিখেছেন, ‘ঢাকা শহরের মধ্যেও অনেক জায়গায়
এখনও পর্যন্ত ঠিক মতো থ্রি-জি চলে না। ফোর-জি চলবে কিভাবে?
তবে গ্রামীণ
ফোনের নেটওয়ার্ক প্ল্যানিং বিভাগের প্রধান মুহম্মদ মুনীর বলেন, আমরা ১৯৯৭ সালে
যাত্রা শুরু পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্কের উন্নয়ন সাধন করছি। শুরুর দিকে ওয়াপ এবং এরপর এজ
বা জিপিআরএস এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা দিতাম। বড় ধরণের পরিবর্তনটা আসে ২০১৩ সালে থ্রি-জি চালুর
মাধ্যমে। আর এখন তো ফোর-জি’ই এসে গেল। আর এর মাধ্যমে প্রযুক্তির সঙ্গে স্পেকট্রামের যে সীমাবদ্ধতা তা আমরা অতিক্রম
করতে পারব। এখন আমাদের কাছে ট্যু-জি,
থ্রী-জি, ফোর-জি সবই আছে। যেখানে গ্রাহকের যেমন চাহিদা
সেখানে সেভাবেই ইন্টারনেট দিতে পারব আমরা।
এ নিয়ে দেশের
সর্ব পশ্চিমের জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জের সুলতানুল আরিফিন নামে একজন স্থানীয় সাংবাদিক
অভিযোগ করেন, জেলা আর উপজেলা সদরের বাইরে কোন জায়গায় এখনও পর্যন্ত
থ্রি-জি আসল না। ফোর-জি কিভাবে আসবে? এই সুবিধা হয়তো শুধু ঢাকা
শহরেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আমরা যে তিমিরে ছিলাম সেখানেই থাকব।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
তথ্য ও প্রযুক্তি
0 facebook: