স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সরকারের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী একাদশ
সংসদ নির্বাচনসহ বেশকিছু ভোট আয়োজন ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য।
এক্ষেত্রে সংসদ
নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হচ্ছে ৬শ’ কোটি টাকার মতো। এছাড়া আসন্ন চার সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনের পরপরই অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনের জন্য আরো ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হচ্ছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আরো
তিনশ’ কোটি টাকার প্রয়োজন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরকারের কাছ
থেকে এই দেড় হাজার কোটি টাকার বিষয়ে এরইমধ্যে আলোচনা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম
নূরুল হুদা ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে সঙ্গে নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
সংবিধান
অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তার আগে বছরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী,
খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি
করপোরেশনের নির্বাচন।
আগামী বছরের
মার্চের দিকে শুরু হবে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
ইসির
ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী বাজেট প্রস্তুতির আগে নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়েছে। এক্ষেত্রে দেড় হাজার কোটি
টাকার মতো বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করেছেন সিইসি।
দশম সংসদ
নির্বাচনের আগে ইসির জন্য সবকিছু মিলিয়ে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো
সরকার। ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির
সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫শ’ কোটি টাকা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেই একই
রকম বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো। তবে উপকরণের দাম বাড়ায় এবার ৬শ’ কোটির মতো ব্যয়
ধরা হচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: