ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে
আদালতে হাজির করার দিন ধার্য থাকলেও তাকে আদালতে আনা হয়নি। কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে আনা যায়নি বলে
জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদা জিয়াকে হাজিরের জন্য আগামী ১৪ মে দিন
ধার্য করেছেন।
রোববার ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। আজ মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির
করেননি কারা কতৃপক্ষ। এসময় আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত করা না গেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার
পরিচালনা করা যেতে পারে। ভারতে এমন নজির আছে।
তবে দুদকের এমন
আবেদনের বিরোধিতা করেন খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, আগামীতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই যুক্তিতর্ক ওই শুনানি
উপস্থাপন করা হবে। এসময় আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য
শুনে যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে ১০ মে নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির
আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি
শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ খালেদা
জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
এর পর ২৮ মার্চ
ও ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে হাজিরের দিন ধার্য থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে
হাজির করা হয়নি বলে আদালতকে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ। এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ
সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন।
জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে
২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে
চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
খালেদা জিয়া
ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম
মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলায় হারিছ
চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।
প্রসঙ্গত ৮ ফেব্রুয়ারি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা
করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক
রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে
জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার
পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা
হয়। প্রথম শ্রেণির কারাবন্দি
হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন। জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে
আদালতে হাজির করার দিন ধার্য থাকলেও তাকে আদালতে আনা হয়নি। কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে আনা যায়নি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। আদালত খালেদা জিয়ার হাজিরের
জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন।
0 facebook: