15 June 2018

ইসরাইলে এক বক্তব্যে হিন্দু সংহতির প্রধান তপন ঘোষ বলেছে, মুসলিমরা হিন্দুদের প্রধান শত্রু


ছবিঃ ফাইল ফটো
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ হিন্দু সংহতির প্রধান নেতা তপন ঘোষ জেরুজালেমে গিয়ে দেওয়া তার এক বক্তব্যে দাবি করেছে মুসলিম এবং কমিউনিস্টরা হিন্দুদের প্রধান শত্রু, সে আবার মমতা ব্যানার্জির প্রতি সহানুভূতিশীল। ভারতীয় রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে বেশ দাপট আছে তার, গত রবিরার ৭ দিনের সফরে সে জেরুজালেমে গেছে, দেবদও মাজি, আরো এক হিন্দু সংহতির নেতা তার সঙ্গে গেছে। সেখানেই বেশ কিছু আলোচনা সভায় সে তার এই বক্তব্য পেশ করে। তেল আবিভে বসে সে একটি সাক্ষাৎকারে বিশদে বর্ণনা করে কিভাবে ইহুদি এবং হিন্দুরা একত্রিত হয়ে মুসলিমদের ধ্বংস করতে পারে। এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়, “দা জেরুজালেম হেরাল্ডএ যেখানে সে মুসলিম এবং কমিউনিস্টদের প্রধান শত্রু হিসেবে বর্ননা করেছে।

তপন ঘোষ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সদস্য ন, সে পরবর্তীকালে হিন্দু সংহতি গড়ে তোলে। কিন্তু বামফ্রন্ট জামানায় কোনো সুবিধাই করতে পারে নি এই হিন্দু সংহতি। ভারতীয় রাজ্য এখন সাম্প্রদায়িক হিংসাতে ভরে গেছে, এই সময় এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলি কে মদত দিচ্ছে স্বয়ং মমতা ব্যানার্জি। এবং ঠিক এই সময় তপন ঘোষের জেরুজালেম যাত্রা যখন তা রক্তাক্ত ও বিধ্বস্ত, এই আশঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বামফ্রন্ট জামানায় যেই হিন্দু সংহতি কোনো ছাপ ফেলতে পারেনি, সেই সংগঠন কিভাবে তৃণমূলের সাত বছরের জামানায় লাগাতার সভা ও কর্মসূচি করে যাচ্ছে? তা ছাড়াও ফিলিস্থিনের নিরীহ মানুষের উপর ইজরায়েলের জায়নবাদী শাসকের হামলার বিরুদ্ধে যখন বিশ্ব জুড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সোচ্চার, সেই সময় হিন্দু সংহতি ইজরায়েলের পক্ষে সমাবেশও করেছে।

তপন ঘোষ ও দেবদত্ত মাজি সেখানে গেছে ইজরায়েলের সেন্টার ফর পাবলিক ডিপ্লোম্যাসির আমন্ত্রণ পেয়ে।

সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, সামরিক বিষয়ে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং ইজরায়েল সেনবাহিনীর প্রাক্তন কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে তপন ঘোষের সাক্ষাৎ হবে তাদের এই সংগঠনের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রতি, বিশেষ করে মমতা ব্যানার্জির প্রতি সে বেশ সহানুভূতিশীল। ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ তে সে তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে যে, ,‘‘আমি মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে চাই না। আমি মনে করি মোদীজি পশ্চিমবঙ্গের লিজ মমতাকে দিয়ে রেখেছেন। সেই লিজ ছাড়িয়ে নেওয়ার কোনও লক্ষণ এখনও আমি দেখতে পাইনি। আমি তো মোদী ভক্ত। তাই মোদীজির কাজের বিরুদ্ধে যেতে চাই না।’’

ঠিক তার পর পর ২৯ শে মার্চ, সে সাংবাদিকদের বলে যে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন কমিউনিস্টরা শিক্ষিত বাঙালির মন অধিকার করে থেকেছে। মার্কসিজম অধিকার করে রেখেছিল বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের। এখনও সবটা যায়নি। কমিউনিস্টদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গে হুলফোটাতে পারেনি হিন্দুত্ববাদ। এখন নরেন্দ্র মোদী ইচ্ছা করেই মমতা ব্যানার্জিকে পশ্চিমবঙ্গের ইজারা দিয়ে রেখেছে।’’


শেয়ার করুন

0 facebook: