আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ উগ্রবাদী দর্শন এবং চীনা জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির পরিপন্থী বিবেচনা করে দীর্ঘদিন
ধরেই পবিত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে সন্দিহান চীনা বুড্ডিস্ট কর্তৃপক্ষ। ভিন্ন সংস্কৃতির চর্চা, যা চীনা
সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ,
এমন আচার ও রীতি একেবারেই নিষিদ্ধ সেখানে।
চীনের
উইঘুর মুসলিম স্কলার মুহম্মদ সালিহ হাজিম দেশটির কুখ্যাত নিপীড়ন ক্যাম্পে আটক অবস্থায়
শাহাদাত বরন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উইঘুর মুসলিমদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস
(ডব্লিউইউসি)। সালিহ হাজিম পবিত্র কোরআন শরীফ আরবি থেকে উইঘুর ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার
এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় ডব্লিউইউসি। এতে বলা হয়, গত ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সালিহ হাজিমকে আটক
করা হয় এবং কুখ্যাত ‘রি-এডুকেশন’ ক্যাম্পে
আটকে রাখা হয়। নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
বিবৃতিতে
বলা হয়, উইঘুর
মুসলিমদের ওপর চীন কর্তৃপক্ষের ব্যাপক নিপীড়ন, বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণে চলমান দমন-পীড়নের
মধ্যেই সালিহ হাজিমকে আটক করা হয়েছিল। ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুশীলন ত্যাগ করতে হাজার হাজার
উইঘুর মুসলিমকে কুখ্যাত ‘রি-এডুকেশন
ক্যাম্পে’ আটকে
রাখা হয়। এতে আরও দাবি করা হয়,
নিপীড়ন ক্যাম্পে সালিহ হাজিমের নিহতের বিষয়টি চীন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে
ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
গত বছরের
বসন্তকাল থেকে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মুসলিমকে এই ‘রি-এডুকেশন
ক্যাম্পে’ আটক
রেখেছে। কেউ কেউ এই সংখ্যা ১০ লাখ হবে বলে জানিয়েছে। আটকদের মধ্যে কিছু বিদেশি নাগরিকও
রয়েছেন। এই ‘রি-এডুকেশন’ ক্যাম্প
কর্মসূচি চালুর উদ্দেশ্য হলো- বন্দিদের মাঝে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা চাপিয়ে দেয়া, তাদের
ইসলামিক মূল্যবোধ মুছে ফেলা এবং তাদের জাতিগত নতুন পরিচয় দেয়া। গত বছর মুসলিম অধ্যুষিত
জিনজিয়াংয়ে এ ধরনের ক্যাম্পের ব্যাপক প্রসার হয়েছে।
চীনের
প্রত্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের ২ কোটি ১০ লাখ অধিবাসীর মধ্যে মুসলিম হলো
১ কোটি ১০ লাখ। বাকিদের অধিকাংশ জাতিগত চীনা হান সেটলার। এখনকার মুসলিম তরুণ-আলেমরাই
বিশেষ করে এই ‘রি-এডুকেশন
ক্যাম্পের’ নিপীড়নের
শিকার।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
চিন
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: