আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের বোস্টন শহরের উত্তরের তিনটি শহরে ধারাবাহিক গ্যাস বিস্ফোরণে অন্তত ৪০টি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনটি শহর লরেন্স, অ্যান্ডোবার ও নর্থ অ্যান্ডোবারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘আগুন ও বিস্ফোরণের’ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
এ সময় গাড়ির ওপর চিমনি ধসে পড়ে লরেন্সে ১৮ বছর বয়সী লিওনেল রন্ডন নামে এক তরুণ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় হাজার বাসিন্দাকে ইতোমধ্যেই নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় আরও কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এ বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে তা নিশ্চিত না করলেও কলাম্বিয়া গ্যাস সংযোগ লাইনের চাপ সংক্রান্ত কারণে এটা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন মেরিমাক ভ্যালির কর্মকর্তারা। বিস্ফোরণের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন দমকল বাহিনীর প্রধান। এন্ডোভার দমকল বাহিনীর প্রধান মাইকেল ম্যানসিল্ড বলেছেন, তার ৩৯ বছরের কর্মজীবনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনও দেখেননি।
পুলিশ জানায়, প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন। তবে এতে কিছুটা সময় লাগবে। যাদের বাড়িতে গ্যাসের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের সবাইকে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
লরেন্সের মেয়ার ড্যান রিভেরা সকল বাসিন্দাকে এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় স্কুলগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তারা ৭০টি আগুনের ঘটনা মোকাবিলা করছেন।
এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর লরেন্সের মেয়র ড্যান রিভেরা শহরের দক্ষিণাঞ্চলের সব বাসিন্দাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন। একের পর এক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় স্কুলগুলোতে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে।
পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সঙ্গে গ্যাস সরবরাহকারীরা এখন বাড়িতে গিয়ে নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তদারকি দেখছেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: