স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে নেয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে বদ্ধরুমে আটকে রেখে চলে অমানুষিক নির্যাতন। পরে মুক্তিপণ চেয়ে স্বজনদের কাছে পাঠানো হয় নির্যাতনের ভিডিও। টাকা দিতে না পারলে হত্যার পর সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয় লাশ। সম্প্রতি লিবিয়ার মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে লোমহর্ষক এমন তথ্য দিয়েছেন একজন। যাতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে প্রতারক চক্রের কয়েকজন। ডিবি কর্মকর্তা জানান, লিবিয়াতে এখনও আটক আছেন শত শত বাংলাদেশি।
একটু ভালো থাকার আশায় দেশ থেকে অনেকেই পাড়ি জমান বিদেশে। কিন্তু স্বপ্নের দেশে যেতে গিয়ে কেউ কেউ পড়েন দালালের খপ্পরে। না বুঝেই তুলে দেন জীবনের শেষ সম্বলটুকু। স্বপ্ন ভঙ্গ ঘটে কিছুদিন পরেই।
লিবিয়ার একটি বদ্ধ রুমে আটকে রাখা হয়েছে ৪০ জনেরও বেশি বাঙালিকে। ভালো বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের দেশটিতে পাঠায় দালালচক্র। পরে আটকে রেখে চালায় নির্যাতন। টাকা না দিলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিণতি হয় নিশ্চিত মৃত্যু।
এমনই মৃত্যুর মুখ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় বেঁচে ফিরেছেন মুমিনুল ইসলাম। শুনান ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা। ছেলের নির্যাতন সয়তে না পেরে দুই ধাপে দালালদের প্রায় ছয় লাখ টাকা দেন মুমিনের মা। পরে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। মুমিনের মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে এসে ধরা পরে দালাল চক্রের তিনজন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকারও করেন দালালরা।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এ ধরনের আরও অনেক চক্র আছে যারা প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে। লিবিয়ায় আটকে পড়াদের দেশে ফেরাতে প্রয়োজনে নেয়া হবে ইন্টারপোলের সহযোগিতা।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: