![]() |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এবং মাস্টার দা সূর্য সেন হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী আবদুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। কারো মেসেঞ্জারে নক দেয়া, তারপর সে মেসেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া; ফেসবুকের পোস্ট ও কমেন্টে মেয়েদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা; লাইভে এসে মেয়েদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া ছিল ওয়াহেদের নিত্যনৈমত্তিক কাজ। ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে কথা বলে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার সে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। তবে ওয়াহেদ এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটাননি। অসংখ্য মেয়েকে তিনি প্রায়ই বিরক্ত করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় তিনি ওয়াহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সে মামলায় তিনি জেলও খেটেছিলেন। এ ছাড়াও গত বছর তার মায়ের অভিযোগে তাকে জেলে যেতে হয়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের নাম করা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীই ওয়াহেদের উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের খুলনা বিভাগের এক নারী যুগ্ম আহ্বায়ক এ বিষয়ে অভিযোগে করে বলেন, ওয়াহেদ মূলত আমাকে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করত। প্রতিদিন ভোর ৫টায় সে আমাকে কল দিত। মাঝেমধ্যে লাইভে এসে আমাকে নিয়ে প্রচুর বাজে কথা বলত। এমনকি আমাকে খুলনা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়। সে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে, তার মোবাইল নম্বরও অনেক। এগুলো দিয়ে সে বিরক্ত করত।
মাহমুদ নামে ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রটি এর আগে মেয়েদের সাথে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলে তা ফেসবুকে আপলোড করেছে। কাজকর্মে তাকে কিছুটা মানসিক অসুস্থ বলেও মনে হয়, তবে তা স্বীকৃত না। ইতঃপূর্বে সে আত্মহত্যা করবে জানিয়েও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
ভুক্তভোগী আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী জানান, রাতের বেলা ওয়াহেদ বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে তাকেসহ অনেক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। মূলত তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। এর আগে অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে। নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাহেব আলী বলেন, তাকে এখন ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেহেতু সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাই প্রক্টরের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
0 facebook: