08 August 2019

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে জবাব দিতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন পাকিস্তানের

পাকিস্তান ও ভারতের পতাকা। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে আইনি, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জবাব দিতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার তিনি শীর্ষ নেতা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করেন। খবর জিয়ো টিভি।

সাত সদস্যের বিশেষ কমিটিতে রয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর খান, পররাষ্ট্র সচিব সোহায়েল মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ রাষ্ট্রদূত আহমেদ বিলাল সুফি, দুই গোয়েন্দা বিভাগ আইএসএস ও আইএসপিআরের দুই মহাপরিচালক।

বুধবার রাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বৈঠকে পাক-ভারত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন ও আগামী ১৪ আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় নির্মম বর্ণবাদী শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশের জন্য সব কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়ার এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং এখানকার রাষ্ট্রদূতদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তা প্রত্যাখ্যান করে।

৩৭০ ধারা বাতিলের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা, যা আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্বীকৃত বিষয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত ওই রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা বাতিল করতে পারে না। কাশ্মীরি জনগণ ভারতের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে ন।


শেয়ার করুন

0 facebook: