![]() |
স্টাফ রিপোর্টার।। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ, বাংলাদেশই বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশকে চিনতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অডিটরিয়ামে ‘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং তার রচিত গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন র্যাব মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক আবিদা সুলতানা।
বিচারকদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।
![]() |
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত দেশের নাগরিকদের উপযোগী করে পুলিশকে উন্নত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত।’
প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে পুলিশ সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই আজকের এ আয়োজন। আমরা পুলিশের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি। এ ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন নিজের জীবনে ঘটানোর জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার শক্তি অর্জন করেছিলেন। তিনি ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে তিনি গড়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে দেশকে একটি সংবিধান দিয়েছেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে। যেখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না। সম্পদের বণ্টন হবে সুষম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারলেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের জাতিসত্তা ও বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা যায় না। যতদিন এ দেশ থাকবে, এ জাতি থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ শুধু ৭১ ও ৭৫ সালেই নয়, এখনও জীবন বাজি রেখে দেশ রক্ষায় কাজ করছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
ওই কুইজ প্রতিযোগিতার বাছাই ৪০টি পুলিশ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ঢাকায় কনেস্টবল থেকে এএসআই পর্যন্ত ২৫০ জন পুলিশ সদস্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাগেরহাট জেলার কনস্টেবল তৌফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের নারী এএসআই মনজিলা পারভীন এবং তৃতীয় হয়েছেন যশোর জেলার কেশরপুর থানার এএসআই নিরস্ত্র জাহিদুল ইসলাম।
বিজয়ীদের মঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি । প্রত্যেক প্রতিযোগীকে পুরস্কার হিসেবে একটি ল্যাপটপ, একটি ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেয়া হয়।
0 facebook: