পাকিস্তানি নৌ বাহিনীর সাবমেরিন। ছবি: সংগৃহীত |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। সমুদ্রপথে কচ্ছ অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তানি কমান্ডোরা ভারতে হামলা চালাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুজরাটের বন্দরগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
আদানীবন্দর ও এসইজেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত কমান্ডোরা হারামি নালা ক্রিক অঞ্চল দিয়ে গুজরাটের কচ্ছ উপসাগরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এতে বলা হয়েছে, পাকবাহিনী সমুদ্রের তলদেশ থেকে আক্রমণে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গুজরাট রাজ্যের যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদানীর বিবৃতিতে মুনদ্রাবন্দরে সব জাহাজে চূড়ান্ত নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে কড়া নজরদারিরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছে তার মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও সজাগ থাকার কথা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা। এ ছাড়া উপকূলের কাছাকাছি কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা নৌকার সন্ধান মিললেই তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
উপকূল অঞ্চল বরাবর টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি নিকটবর্তী অফিসে বা বাড়িতেও সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেখানকার বিভিন্ন গাড়িতে। সব মিলিয়ে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গুজরাটকে।
৩৭০ অনুচ্ছেদের আওতায় থাকা জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার বিষয়ে মোদি সরকার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই পাক-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ চরম উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘গজনভি’ উৎক্ষেপণ করেছে পাকিস্তান।
বুধবার গভীর রাতে একটি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে এই ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের প্রেক্ষিতেই তারা এ মহড়া চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
পাকিস্থান
ভারত
0 facebook: