আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিয়ানমারে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার প্রধান খলনায়িকা বার্মিজ নেত্রী অং-সান-সু-খি মানবতার বিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে পারে। মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক ইয়াং লি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইয়াং লি বলেছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেত্রী ও বেসামরিক নেতা হিসেবে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনে দেশটির সেনাবাহিনীর জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে তার বিচার হতে পারে।
মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থাকে দেয়া এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারে স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তদন্তকারীদের একটি প্যানেল বলেছে- মিয়ানমারে ৬ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছে। এ ব্যাপারে অং-সান-সু-খি তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে অং-সান-সু-খি-কে নোবেল পুরস্কার দেয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছিল, যার প্রতিটি লঙ্ঘন করেছে সে।
মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক অঞ্চলে হেলিকপ্টার গানশিপ, ভারী আর্টিলারি এবং ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করছে। রাখাইনে পুরুষদের মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছে এবং রাখাইন গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেন, সেনা পদক্ষেপের বিষয়ে অং-সান-সু-খি’র কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে ৬০ শতাংশ আসন নিয়ন্ত্রণকারী একটি দলের প্রধান হিসেবে সে এমন একটি সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, যে সব আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে।
বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং মানবাধিকারের জন্য অং-সান-সু-খি’র ব্যাপক ও বিস্তৃত দায়িত্ব ছিল বলেও জানায় তদন্তকারী দল।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
মুসলিম নির্যাতন
রোহিঙ্গা
0 facebook: