![]() |
কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, এজন্যে
বন্দিদের বেতনও দেওয়া হবে এবং সেই উপার্জিত অর্থ তারা বাইরে পরিবারের কাছে পাঠাতে
পারবেন, অথবা
চাইলে কারাবাসের মেয়াদ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুরো টাকাটা তুলে নিতে পারবেন। কারখানাটির
উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন কারাবন্দীরা যাতে ভবিষ্যতে
কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কারা
মহা পরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, প্রাথমিকভাবে
এই কারাখানায় তিন থেকে সাড়ে তিনশ বন্দী কাজ করবেন, এবং তাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা অনুসারে বন্দিরা
বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করবেন। ''তাদের
পুর্নবাসনের জন্য আমরা তাদের শ্রমজীবী হিসাবে কাজ করার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ
দিচ্ছি। পুর্নবাসন করাতে হলে বাইরে যেসব শ্রম বাজার রয়েছে তার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে
আমরা তাদের তৈরি করছি।''
''নারায়ণগঞ্জ জেলখানা থেকে বেরিয়ে বন্দিদের
বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করার সুযোগ বেশি, কারণ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ
এলাকায় গার্মেন্টস কারখানা বেশি। এই কনসেপ্ট থেকেই তাদের পুর্নবাসনে এই উদ্যোগ নেওয়া
হয়েছে,'' বলছেন
মিঃ ইফতেখার উদ্দিন।
তিনি
বলছেন, যদিও
জেলকোড অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বন্দিরা টাকার অংকে পারিশ্রমিক পান না, কিন্তু
শীঘ্রই সেই নিয়মে সংশোধনী আনা হচ্ছে। কারাবন্দিদের দিয়ে এর আগে ছোট পরিসরে এরকম আরো
দুটি পোশাক কারখানা গাজীপুর এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার টুতে করা হয়েছে। তিনি
বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী
বন্দিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে ইউনিট চালানোর দায়িত্ব দেয়া হবে। আর স্বল্পমেয়াদী
বন্দিদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো হবে। তাদের জন্যও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা
হবে। তবে, কারখানাটিকে
রপ্তানিমুখী বলা হলেও, কারা
মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন,
এখানকার পোশাক রপ্তানি করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
''পোশাক রপ্তানিমুখী করতে গেলে তার কোয়ালিটি
নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যখনই কোয়ালিটি কন্ট্রোলে বুঝব যে বাইরে পাঠানোর মত মান অর্জিত
হয়েছে তখনই সেটা করা হবে। তবে রপ্তানির জন্য কিছু সরকারি নিয়মকানুনও আছে। সেগুলোও
আমাদের দেখতে হবে।''
তিনি
বলছেন মানসম্মত পোশাক তৈরি নিশ্চিত করা গেলে এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রির পর বাড়তি
পণ্য থাকলে তা বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই কারখানার আয়তন ছয় হাজার বর্গফুট।
এই পোশাক কারখানাটির সঙ্গে এক হাজার বর্গফুটের একটি জামদানি পণ্য উৎপাদন কেন্দ্রও তৈরি
করা হয়েছে।
কারখানাটির
অর্থ সংস্থান কিভাবে করা হয়েছে?
নারায়ণগঞ্জের
জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া এই পোশাক কারখানাটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন । "আমাদের
লক্ষাধিক ইঁট লেগেছে, সেটি
দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ ইঁটভাটা মালিক সমিতি, সিমেন্ট দিয়েছে লাফার্জ এবং ক্রাউন সিমেন্ট, রড, টিন ও
টাইলস দিয়েছেন তিনজন ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। সবাই সাহায্য করেছে, কিন্তু
আমরা কারো কাছ থেকেই কোন নগদ অর্থ গ্রহণ করিনি," বলছিলেন রাব্বী মিয়া।
বেসরকারি
উদ্যোগ ছাড়াও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিকেএমইএ কারিগরি সহায়তা দিয়েছে এই কাজে।
প্রাথমিকভাবে এখানকার তৈরি পোশাক এবং জামদানি, আড়ং এর মত বড় বুটিক শপগুলোতে বিক্রি করা
হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র:
বিবিসি বাংলা
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ব্যবসা ও বাণিজ্য
0 facebook: