স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে এই দেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি এ দেশের নারীদের অবদান ও ছিল ব্যাপক। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি গোষ্ঠী নারীদের পিছিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নারীদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। অতএব ধর্মের দোহাই দিয়ে আজ আর নারীদের পিছিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় মাঠে কন্যা উৎসবের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অবদান রাখতে হবে। ঝালকাঠির কন্য উৎসব সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এর মধ্য দিয়ে নারী সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
কন্যা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য শারমিন মৌসুমী কেকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, ঝালকাঠির কৃতী কন্যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমা নাসরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নূরজাহান সরকার, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা।
এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম ঝালকাঠিতে ‘কন্যা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশ বিদেশের দুই হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। এখানে এসে নারীরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেছেন। অনুষ্ঠানে রত্নগর্ভা মায়েদের সম্মাননা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ঝালকাঠির কন্যাদের পদক প্রদান, ও সম্ভাবনাময়ী কৃতী কন্যাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কন্যা উৎসবের স্বপ্নদ্রষ্টা ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য শারমিন মৌসুমী কেকা, পৌর কাউন্সিলর নাছিমা কামাল, সদর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার, শিক্ষক শিমুল সুলতানা হেপী ও জাফরিন ফারজানা শিমুলের সৌজন্যে উৎসব নিয়ে পূর্বপরিকল্পনার ১০ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
পরে নাচ, গান ও কবিতা আবৃতি করা হয়। রাতে সংগীত পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।
কন্যা উৎসবের উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শারমিন মৌসুমী কেকা বলেন, কন্যা উৎসব আমাদের একটি স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এই কন্যা উৎসবে ঝালকাঠির দুই হাজার কন্যা অংশ নেন। উপস্থিতি আরও বাড়ত, একটি গোষ্ঠী আমাদের উৎসব নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। তার পরেও আমরা সফল হয়েছি, কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের রুখতে পারেনি। এ উৎসব প্রতি বছর করা হবে বলেও জানান তিনি।
কন্যা উৎসবের আয়োজকদের একজন শিমুল সুলতানা হেপী বলেন, আমাদের উৎসব এখন জেলার সকল মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম। এখানে ৮ হাজার নারী অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেও দুই হাজার উপস্থিত হয়েছেন। শহরের গুণী পাঁচ কন্যা এই অনুষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা। উৎসব সফল করতে পঞ্চকন্যার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষ।
কন্যা উৎসবের স্বপ্নদ্রষ্টারা হচ্ছেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য শারমিন মৌসুমী কেকা, পৌর কাউন্সিলর নাছিমা কামাল, সদর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার, শিক্ষক শিমুল সুলতানা হেপী ও জাফরিন ফারজানা শিমুল।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
লাইফস্টাইল
সারাদেশ
0 facebook: