স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়িচাপায় সেলিম ব্যাপারী নিহত হওয়ার ঘটনা অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে আপসরফা হয়েছে। দুর্ঘটনার চার দিন পর নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করীম চৌধুরীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ গতকাল নিহতের স্ত্রী চায়না ব্যাপারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি হত্যাকা- বলে
প্রত্যক্ষদর্শীরা
দাবি করেছেন, এমপি একরামুলের ছেলে শাবাব চৌধুরীই এর জন্য দায়ী। অভিযুক্ত শাবাব ও তার মা-বাবা অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি
করে বলছেন, তাদের গাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও দায়ী তাদের গাড়িচালক। নিহত সেলিমের ভগ্নিপতি আবদুল আলিম বলেন, ‘রবিবার সেলিমের স্ত্রীর ব্যাংক
অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির মালিক। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মহাখালীর ডিওএইচএসের অফিসে
সবার উপস্থিতিতে আলোচনা হয়। নায়ার প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে ওই আপস
বৈঠক হয়। এমপির পক্ষে যারা এসেছিলেন, তারা আমাদের ২০ লাখ টাকা
দিয়েছেন। আর প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা
দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এমপি সাহেব। ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলেছেন।’ মামলাটি তুলে নেওয়া হবে বলেও
জানান আবদুল আলিম। তবে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ
মামলাটি তুলে নেওয়া হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
গত মঙ্গলবার
রাতে রাজধানীর মহাখালীর জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন ফ্লাইওভারে এমপির স্ত্রী নোয়াখালীর
কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলির বিলাসবহুল ওডি-৪ প্রাইভেটকারের
চাপায় মারা যান সেলিম ব্যাপারী। তিনি মহাখালীর ডিওএইচএসে নায়ার প্রোপার্টিজের গাড়িচালক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এমপি
একরামুলের ছেলে শাবাব চৌধুরী। তবে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে’ শাবাবকে অভিযুক্ত করেনি পুলিশ। তাই এ ঘটনায় কাফরুল থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি
মামলা করা হয়।
এদিকে সেলিম
ব্যাপারীর মৃত্যুর ঘটনা তার পরিবার আপস করেছেন কিনা, জানতে চাইলে কাফরুল থানার ওসি সিকদার মোহাম্মদ শামিম
বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তথ্য সঠিক হলে আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
খবর বিভাগঃ
বিভাগীয় সংবাদ
0 facebook: