আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তবুও কেন যেন নিশ্চিত হতে পারছিলেন না সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) নারী কর্মীরা। নিজেদের সন্দেহ দূর করতে নিয়মের অজুহাতে তারা বিবস্ত্র করে পরীক্ষা করলেন এক নারী যাত্রীকে। গত রোববার ভারতের গুয়াহাটির লোকপ্রিয়া গোপীনাথ বরদোলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটেছে।
আসাম থেকে দিল্লি ফিরছিলেন ডলি গোস্বামী এবং তার স্বামী শিবম সামরা। সেইসময়ই এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। বিমানে বোর্ডিংয়ের সময় ডলিকে দেখে হঠাৎ সন্দেহ করে সিআইএসএফ নারী কর্মীরা। ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ডলির ডাক্তারি রিপোর্ট না দেখে তাকে বিবস্ত্র করেই পেট টিপে পরীক্ষা করেন তারা।
স্ত্রীর এই দুর্ভোগের কথা টুইটারে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিবম। বলেন, তিনি স্পাইস জেট কর্তৃপক্ষকে তার স্ত্রীর জন্যে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু হুইল চেয়ারতো দূরের কথা, সিআইএসএফ কর্মীরা তাদের বোর্ডিং পাসও দিতে চাননি। তার আগে ওই মহিলাকে বলা হয় আপনি যে সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা তার প্রমাণ দিন।
এদিকে, টাইমস নাও-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সিআইএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডলি গোস্বামীর অনুরোধে তাকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সার্চ করা হয়নি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সার্চ না করে বিমানে উঠতে দেওয়া অনুমতি দেওয়া যায় না। ঠিক সেই কারণেই আলাদা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে সার্চ করেন নারী কর্মীরা।
সিআইএসএফ আরও জানায়, ডলি বা তার স্বামীর কাছে কোনও রকম ডাক্তারি রিপোর্ট ছিল না। এই অভিযোগের উত্তরে শিবম সামরা জানান, সব রকম ডাক্তারি রিপোর্ট ছিল তাদের চেক-ইন লাগেজে।
নিজেদের অবস্থানের পক্ষে সিআইএসএফ'র জবাব, যেহেতু আগেও গুয়াহাটি থেকে সোনা পাচারের ঘটনা ঘটেছে, তাই কর্তব্যরত নারী কর্মীরা নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। তবে এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে তারা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: