কন্যাসন্তান জন্মদানের ‘অপরাধে’ এক নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহতের নাম পুজা দাস (২৩)। তিনি কলকাতার পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়নার বাসিন্দা। তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, পূজার বাবা গুরুপদ দাস জানিয়েছেন, ৭ বছর আগে পেশায় রাজমিস্ত্রি সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পুজার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার মেয়েকে নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কখনও শারীরিক নির্যাতন, কখনও মানসিক নির্যাতন।
এর মধ্যে তাদের কন্যাসন্তান হয়। শিশুর জন্মের পর পুজা উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সমস্যার সমাধানে কয়েকবার তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
গুরুপদ দাস আরও জানান, গত শনিবার পূজার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ অবস্থায় চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাকে উদ্ধার করেন তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুজাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, সেখানেই মারা যায় সে।
এ ঘটনায় সুমন দাসসহ শ্বশুরবাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুজার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
রায়না থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গৃহবধূ খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: